সরেজমিনে শুক্রবার (২০ জুলাই) দুপুরে গোটা পৌরশহর ঘুরে দেখা যায়, জনমানবহীন তপ্ত সড়ক।
সড়কে রিকশা কিংবা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দেখা নেই।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, প্রচণ্ড তাপদাহ আর গরমে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরায় স্যালাইন কিনতে এসেছি। সূর্যতাপে আমার ছোট মেয়ে আর আমার মায়ের অবস্থা একেবারেই খারাপ। এই মাত্র ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে স্যালাইন কিনতে এসেছি।
কথা হয় রাস্তার এক পাশের গাছের ছায়ায় দাঁড়ানো রিকশাচালক জুরান সাহার সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান,আমি গরিব মানুষ রিকশা না চালালে খাবো কি ? কিন্তু সকাল থেকে রিকশা নিয়ে বেরুলেও এখন দুপুর পর্যন্ত মাত্র একজন যাত্রী পেয়েছি। তার কাছ থেকে ভাড়া পেয়েছি ১০ টাকা। এই হলো দুপুর পর্যন্ত আমার রোজগার। এই সূর্যতাপে মানুষ তো বাইরে বেরুতেই পারছে না। আমার রিকশায় চড়বে কে ?
রেলস্টেশন এলাকার লেবু শরবত বিক্রেতা এরশাদ আলি জানান, প্রচণ্ড গরমে সকাল থেকে গভীর রাত অব্দি তার লেবু শরবতের দোকানে ভিড় লেগেই আছে। প্রতি গ্লাস লেবু শরবত ৫ টাকায় বিক্রি করি।
রংপুরের আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে জানান, আজ (শুক্রবার) রংপুর অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ কোথাও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও আগামী শনিবার (২১ জুলাই) কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে। বদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ইফতেখারুল আলম মারুফ জানান, অতিরিক্ত গরমে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পেটের পীড়া ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগী। এই গরমে শরীর হতে অতিরিক্ত লবণ পানি ঘাটতি পূরণে সবাইকে খাবার স্যালাইন ও বেশি বেশি পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় ১৬৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এএটি