রাস্তার কোথাও ফেলে রাখা হয় ভবন নির্মাণের উপকরণ, কোথাও আবার বসে বাজার। এমন চিত্র রাজধানীর সবখানেই।
বিষয়টি নজরে এনে ২০১৭ সালের ১৯ মে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক বলেছিলেন, ঢাকা শহরে পাবলিকের কোনো রাস্তায় নো পার্কিং দেখতে চাইনা। আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে এসব উচ্ছেদ করব। পাবলিকের রাস্তা উদ্ধার করা হবেই।
ওইদিন তিনি আরও বলেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সবগুলো রাস্তার নো পার্কিং লেখা তুলে নিতে হবে। অন্যথায় ওইসব সংস্থাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলগুলোর সামনে এই ‘নো পার্কিং’ সাইনবোর্ড বেশি লক্ষ্য করা যায়। এছাড়া গ্রুপ-৪ নামে একটি নিরাপত্তা সংস্থাও অনেক রাস্তায় নো পার্কিং সাইনবোর্ড দিয়ে দখল করে রেখেছে।
এছাড়া অনেক স্কুল, কলেজের সামনে নো পার্কিং সাইন বোর্ড দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। বাদ যাচ্ছে না বড় বড় শপিং মল এবং ডিপার্টমেন্টার স্টোরগুলোও। যে যার মতো করে সাইন বোর্ড দিয়ে কয়েক ফুট রাস্তা দখল করে রাখছে।
এসব নো পার্কিং সাইন বোর্ডের কারণে অনেক সময় দীর্ঘ যানজটে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীর। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান নো পার্কিং সাইন বোর্ড দিয়ে নিজেদের গাড়ি পার্ক করে রেখেছে। পাবলিক রাস্তায় হঠাৎ কোথাও নো পার্কিং সাইন বোর্ড থাকলে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
ডিএনসিসি’র তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী (ট্রাফিক বিভাগ) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধভাবে অনেকেই নো পার্কিং সাইনবোর্ড দিয়ে রাস্তা দখলে রেখেছেন। আমরা ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে ৩০টি স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছি। সেগুলোতেই কেবল গাড়ি পার্ক করা যেতে পারে। এর বাইরে যারা নো পার্কিং সাইনবোর্ড দিয়ে রাস্তা দখল করছে বা নির্দিষ্ট স্থান ব্যতীত পার্কিং করছেন তা অবৈধ। আমরা এগুলো তুলে দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এসএম/এনএইচটি