দুদক চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘১৯৯৬ সালে শহরের উপকণ্ঠে কাজীরবাগের কম্পিউটার ইন্সটিটিউটের পাশে প্রায় সাড়ে ৭ একর জায়গায় জেলা কারাগার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় ৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এ কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।
‘ফেজ ওয়ানের চেয়ে পরবর্তী ফেজের কাজগুলোতে বেশি দুর্নীতি হয়েছে। নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের সামগ্রী। বেশ কিছু জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়নি। ফেজ দুই এবং তিনের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে মানহীন রড ও নিম্নমানের ইট। নির্মাণাধীন কিছু জায়গায় ডিজাইনও পরিবর্তন হয়েছে। মূল কারাগারের ছাদের পুরত্ব যা হওয়ার কথা, তাও হয়নি। ভিত্তিপ্রস্তরগুলোর ফাইলিংয়ে ব্যাস-পরিধি-ডায়ামিটার কমানো হয়েছে। এসব কারণে কয়েকটি ভবনের ব্যবহার ও স্থায়িত্ব ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। ’অভিযোগকারীর দাবি, ‘কাজটির সঙ্গে জড়িত গণপূর্ত বিভাগের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মো. বদরুজ্জামান, ঠিকাদার লোকমান হোসেনসহ একটি চক্র এ দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। অর্জিত অর্থ ব্যক্তিগত ও নামে-বেনামে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে রয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি-জালিয়াতির চিত্র কেমন ছিলো তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
অভিযোগের শেষাংশে উল্লেখ করা হয়, ‘তদন্তের অগ্রগতির জন্য আরও জানাতে চাই- গত ১ জুলাই নির্মাণাধীন ফেনী কারাগার পরিদর্শনে যান কারা মহাপরিদর্শক। কাজ দেখে তিনি ক্ষুব্ধ এবং বিস্মিত হন। তিনি সবার সামনে গণপূর্তের ফেনী নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারকে বলেছেন যে, এমন নিম্নমানের কাজ দিয়ে আর কোনো কারাগার নির্মাণ হয়নি। ’
অভিযোগটি নজরে আসায় মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ফেনী জেলা প্রশাসনের একটি অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকরা গণপূর্ত বিভাগের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মো. বদরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তা আস্বীকার করেন। পরে জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় বলেন, সাংবাদিকরা যে অভিযোগ করেছেন, তা অমূলক নয়।
গত ১ জুলাই নির্মাণাধীন ফেনী কারাগার পরিদর্শনকালে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন নিম্নমানের কাজ দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এসএইচডি/এইচএ/