ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে বক্তব্য রাখছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ সার্বজনীন রোম সনদের গুরুত্বকে স্বীকার করে এবং আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের সকল লক্ষ্য অর্জনে অব্যাহতভাবে সমর্থন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যহীন বিশ্ব গড়তে বাংলাদেশ দৃঢ় প্রত্যয়ী। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বিশ্ববাসীর সঙ্গে বাংলাদেশ সহযাত্রী হবে।


 
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) নেদারল্যান্ডসের হেগে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টে (আইসিসি) ‘এনডিউরিং ভেল্যু অব দ্য রোম স্ট্যাটিউট টু হিউম্যানিটি’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে বক্তৃতাকালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে বুধবার (১৮ জুলাই) জাতীয় সংসদে স্পিকারের কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
 
স্পিকার বলেন, এই  সিম্পোজিয়াম কেবলই উ‍ৎসব নয় বরং মানবতা লঙ্ঘনীয় অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। বাংলাদেশ গর্বিত, কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত সৃষ্টিতে এবং রোম সনদ গ্রহণের সূচনা লগ্নে প্রচার-প্রচারণায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ সকল প্রকার বিচারহীনতা, যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অঙ্গীকারবদ্ধ।

ড. শিরীন শারমিন বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববাসী মিয়ানমারের একটি সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার মতো হ্নদয়বিদারক ঘটনা প্রত্যক্ষ করল। গত ২৫ আগস্টের পর থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। যার বেশির ভাগই শিশু ও নারী। জাতিসংঘ ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনাটিকে জাতিগত নিধন ও গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পাশে থাকছে। এখন বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনে প্রয়োজন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত ও কার্যকর ভূমিকা।
 
তিনি আরও বলেন, সক্রিয় সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আইসিসি’র কাছে বলপূর্বক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করানোর কারণে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রুলিং প্রত্যাশা করে। মিয়ানমার আইসিসি’র সদস্যভুক্ত নয় কিন্তু বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই এ সংক্রান্ত প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি আইসিসি’র প্রি-ট্রায়াল চেম্বার -১ এ উপস্থাপন করেছে। আইসিসি’র ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রোম সনদের বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সবসময় পাশে থেকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে বলেও তিনি অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন।
 
অনুষ্ঠানে রোম সনদের প্রেসিডেন্ট ও-গোঁ কোয়ান, আইসিসি’র  প্রেসিডেন্ট চিলি ইবো ওসুজি এবং আইসিসি’র প্রসিকিউটর ফাতো বেনসৌদা বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
এসএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad