রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেলে চাঞ্চল্যকর বৃষ্টি (১৬) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি সুমনকে (২৯) আটকের পর এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাতে মিরপুরের পাইকপাড়া এলাকা থেকে সুমনকে আটক করে র্যাব-৩।
বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেফতার সুমন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন জানিয়ে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এমরানুল হাসান বলেন, আসামি সুমন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি চালক। ২০১০ সালে ভিকটিম বৃষ্টির মেজো বোন হাসনার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। গত তিন চার বছর ধরে তিনি তার শ্যালিকাকে উত্যক্ত করতেন এবং এক পর্যায়ে সেটা অনৈতিক সম্পর্কে গড়ায়।
‘পরে বিষয়টি পারিবারিকভাবে নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হয় এবং বোনের সংসার বাঁচাতে ভিকটিম বৃষ্টি ধীরে ধীরে সুমনের কাছ থেকে দূরে সরে আসতে থাকেন। এ ঘটনা সুমনের মনে প্রচণ্ড ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ’
র্যাব কর্মকর্তা এমরানুল বলেন, বৃষ্টি মহাখালী সাততলা বস্তিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। গত ১৬ জুলাই নিজেদের মধ্যে চূড়ান্ত ফয়সালা করতে সুমন মগবাজারের একটি হোটেলে বৃষ্টিকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রুম ভাড়া নেন।
‘ওই সময় তাদের নিজেদের আগের বিষয়গুলো নিয়ে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুমন জোর করে বৃষ্টির সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে চাইলে বৃষ্টি রাজি না হওয়ায় সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ওড়নার একাংশ গলায় পেচিয়ে ও অন্য অংশ হোটেলের ফ্যানের সঙ্গে বেঁধে সুমন পালিয়ে যায়। ’
এর আগে গত ১৬ জুলাই বিকেলে মগবাজারের আবাসিক হোটেল ‘বৈকালী’ থেকে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিনই বৃষ্টির বাবা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
পিএম/এমএ