ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হজক্যাম্পে হাইকমোড সংকটে দুর্ভোগে যাত্রীরা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
হজক্যাম্পে হাইকমোড সংকটে দুর্ভোগে যাত্রীরা! আশকোনা হজক্যাম্প

ঢাকা: সারাদেশ থেকে হজে গমনেচ্ছুকরা রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পে এসে অবস্থান নেন। এখান থেকে নিজ নিজ এজেন্সিগুলো থেকে তারা পাসপোর্ট, ভিসা ও পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। এজন্য হজযাত্রীরা একদিন আগেই চলে আসেন ক্যাম্পে।

কিন্তু ক্যাম্পে হাইকমোড টয়লেট স্বল্পতা থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়ছেন বয়স্ক ও অসুস্থরা।

এ নিয়ে রয়েছে সংশ্লষ্টদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হজক্যাম্পে ৩ হাজার যাত্রীর বিশ্রামের জন্য ১৪টি ডরমেটরির ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে ১২টি পুরুষদের, ২টি নারীদের জন্য। প্রতিটি ডরমেটরিতে ১০টি টয়লেটের মধ্যে একটি মাত্র হাইকমোড, বাকিগুলো ফ্লাটকমোড। এতে হাইকমোড টয়লেটে প্রতিনিয়ত দীর্ঘলাইন থাকছে।

সাইদুল ইসলাম নামে এক হজযাত্রী বলেন, আমি শুক্রবার ক্যাম্পে এসেছি, আজ রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে আমার ফ্লাইট। এখানে টয়লেট সমস্যা চরমে। হাইকমোডের ব্যবস্থা নেই। যেটা আছে তা ২০০ জনের জন্য অপ্রতুল। সব সময় দীর্ঘলাইন থাকছে।

লুৎফর রহমান নামে অপর এক হজযাত্রী বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করে বলেন, হজযাত্রীদের মধ্যে যারা অসুস্থ আছেন তারা ফ্লাটকমোডে যেতে পারছেন না। হাইকমোড টয়লেট আরও বাড়ানো উচিত।

হজযাত্রী ও হাজি কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ড. আবদুল্লাহ আল নাসের বলেন, হজযাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ফ্লাটকমোড ও হাইকমোড সমান সংখ্যক থাকা উচিত। এখানে বেশিরভাগ মানষ উচ্চবৃত্ত পরিবারের তাই তাদের (কর্তৃপক্ষ) বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আবার অনেক অসুস্থ মানুষ হজ পালন করতে যান, তারা নরমাল টয়লেটে বসতে পারেন না। তাদের কথাও ভাবা উচিত।

এ বিষয়ে হজক্যাম্পের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, এটা অনেক পুরাতন বিল্ডিং। তৈরির সময় হাইকমোড ছিলো না। তবে এবার যেহেতু অভিযোগ এসেছে তাই আগামীতে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাড়ানো হবে হাইকমোড টয়লেটের সংখ্যা।  

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালন করতে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি হজ এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালন করছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইনসের ১৮৮টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।

আগামী ২৫ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময়কালের বিভিন্ন ফ্লাইটে এখনও প্রায় ১০ হাজার হজ টিকিট অবিক্রিত রয়েছে। এ কারণে বিমানের পক্ষ থেকে সব হজ এজেন্সিকে হজযাত্রীদের দ্রুত টিকিট সংগ্রহের অনুরোধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
ইএআর/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।