ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোটা সংস্কার আন্দোলন: ঢাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮
কোটা সংস্কার আন্দোলন: ঢাবিতে পক্ষে-বিপক্ষে কর্মসূচি ঢাবিতে কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে পৃথক কর্মসূচি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে-বিপক্ষে পৃথক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ঘটনায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।  

রোববার (১৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।  

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের পক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’র ব্যানারে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এতে সমর্থন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও অংশ নেন।  

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েকজন যুবক সেখানে গিয়ে নানা ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার এলাকায় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের পেছন থেকে হামলা করেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।  

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় ছিল সকাল ১১টায়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কাজী মোতাহার হোসেন ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন।   একইসময় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের ঢাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা মানববন্ধন করেন।

সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে এলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু, আইন বিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়, স্কুল কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদিন, ঢাবি শাখার বঙ্গবন্ধু হলের সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাধন, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রহমান, আরিফ হোসেনসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা অবস্থান নেয়।

এরপর শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন শুরু করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বিপরীত মুখে অবস্থান নেয়।

এ সময় উভয়পক্ষেরর মাইক মুখোমুখি অবস্থান নেয়। মানববন্ধনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ভাষায় উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকেন। তখন শিক্ষার্থীরা তাদের বক্তব্যের উত্তরে ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলতে শোনা যায়। এ সময় শহীদ মিনারে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা মানববন্ধনের পর সোয়া ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে জাতীয় সংগীত পরিবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থীরা সাড়ে ১২টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এলে হামলার শিকার হন।

ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, ‘মানববন্ধনের শেষ পর্যায়ে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের ঘিরে ফেলেন। পরে আমরা রাজু ভাস্কর্যের দিকে যাওয়ার পথে শিববাড়ি মোড়ে শেখ রাসেল টাওয়ারের সামনে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং আমাদেরকে লাঞ্ছিত করে। পরে ঘটনাস্থলে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টরিয়াল বডি। তারা সবাইকে শহীদ মিনার এলাকা ত্যাগ করার জন্য মাইকিং করেন।

কোটা আন্দোলনে নিপীড়িত শিক্ষার্থীর ব্যানারে মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তানভীর হাসান সৈকত বলেন, বিএনপি-জামায়াত মিলে ক্যাম্পাসে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। আমরা তাদেরকে সেই সুযোগ দেবো না।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৮/আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা,
একেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad