শনিবার (১৪ জুলাই) হাসপাতালের রোগীর স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে পানির অভাবে রোগী নিয়ে হাসপাতালে থাকাটাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কষ্ট এড়াতে কেউ কেউ চলেও গেছেন।
এদিকে পানির অভাবে হাসপাতালের ভেতরের শৌচাগারের অবস্থাও বেশ খারাপ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, হাসপাতালে সেন্ট্রাল পানির সাপ্লাইয়ের জন্য গভীর নলকূপ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) থেকে সেটি থেকে পানির সঙ্গে বালু ও ময়লা উঠে আসতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, এরপরই বিষয়টি সিভিল সার্জন ও প্রকৌশল বিভাগকে জানানো হয়। শুক্রবার (১৩ জুলাই) এসে তারা দেখে গেছেন আর শনিবার কাজও শুরু করেছেন। আগামীকালের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি। এ মুহূর্তে হাসপাতালের পূর্বদিকে ও ডায়েরিয়া ওয়ার্ডের সামনে থাকা চাপকল থেকে ম্যানুয়ালি পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
রোগীদের কিছুটা কষ্ট হলেও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি।
তবে ওয়ার্ডে দায়িত্বরতরা বলছেন, পানির অভাবে হাসপাতালের মূল ভবনের কক্ষ ও টয়লেট পরিষ্কার রাখাটা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে দুর্গন্ধের কারণে রোগীদের হাসপাতাল ত্যাগ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ১৪ জুলাই, ২০১৮
এমএস/আরআর