আশ্রিত রোহিঙ্গাদের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও চিকিৎসা সেবাসহ আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং। কোনো ওজর আপত্তিহীন ভাবে বাংলাদেশ তা করে যাচ্ছে, এটি ধন্যবাদের যোগ্য।
বৃহস্পতিবার বিকালে কুতুপালং ডি ব্লকের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্থাপনা ঘুরে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য জাতিসংঘসহ আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় কাজ করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মর্যাদা সহকারে স্বদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
ক্যাম্প পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে তাদের সুখ দুঃখের কথা জানতে চান তিনি। পরে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা এখানে যতদিন থাকবে ততদিন মালয়েশিয়া সরকার সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।
তিনি টিএন্ডটি এলাকায় মালয়েশিয়া সরকার পরিচালিত হাসপাতালের কথা উল্লেখ করে বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে চাহিদামতো স্বাস্থ্য সেবা পায় সেজন্য প্রয়োজন বশত এ হাসপাতালকে আরো সম্প্রসারন করা হবে। হাসপাতাল পরিদর্শনকালে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের আন্তরিক হওয়ার নির্দেশনা দেন।
মালয়েশিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত ক্যাম্পে অবস্থান করে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় করেন।
প্রায় ১৮ সদস্যের মালয়েশিয়ান প্রতিনিধিদল সাড়ে ৬ টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্য কুতুপালং ত্যাগ করেন। এ সময় তাদের সাথে ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জআমান চৌধুরী, ওসি আবুল খায়েরসহ বিমান বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, ১৩ জুলাই, ২০১৮
এমএমএস