ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, অতপর…

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা, অতপর… প্রতারক চক্র। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির নামে আকর্ষণীয় অফিস। প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইনে লোভনীয় বেতনে চাকরির প্রস্তাবে সহজেই আকৃষ্ট হতেন অনেকে। আট-দশটা করপোরেট অফিসের মতোই ইন্টারভিউ নিয়ে চাকরিও দিতেন। এরপর সেই চাকরির প্রলোভনে প্রার্থীরা ‘সিকিউরিটি মানি’ বাবদ লাখ টাকা দিতেও কার্পণ্য করতেন না।

‘সিকিউর’ জীবনের প্রত্যাশায় ‘সিকিউরিটি মানি’ দেওয়ার পর চাকরিপ্রার্থীরা বুঝতে পারতেন ঘটনা আসলে অন্যরকম। চাকরিতে যোগদানের দিন গিয়ে দেখতেন অফিস তালাবদ্ধ! আর এদিকে চাকরিদাতারা নতুন ঠিকানায়, নতুন নামে অফিস করে আবার দিয়ে যান চাকরির বিজ্ঞাপন।

এ যেন চাকরি নিয়ে রমরমা বাণিজ্য।

বুধবার (১১ জুলাই) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাকরি ব্যবসায়ী চক্রের ১৩ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইড ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আদনান তালুকদার ওরফে আল আমিন (৪০), খন্দকার মো. আলমগীর হোসেন ওরফে মাসুম (৪৩), জহুরুল হক (৪২), সৈয়দ সাহারিয়ার সোহাগ (৩২), খালেদ মাহমুদ (৩২), রহমত উল্লাহ (২১), হাফিজুর রহমান (২৯), ইনছান আলী (৩৭), সিরাজুল ইসলাম (৩৫), নাদিম উদ্দিন (৩১), মেহেদি হাসান (২১), হানিফ কাজী (৪৫) ও মামুনুর রশিদ (৩৮)।

বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইমের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মোল্যা নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই চক্রটি মূলত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করে। এই চক্রটি তিন/চার মাস পরপর তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং বিভিন্ন নামে অফিস খুলে চাকরি দেওয়ার নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিতো।

২০১৩ সাল থেকেই চক্রটি ফরচুন গ্রুপ অব কোম্পানি, রেক্সন গ্রুপ অব কোম্পানি, ম্যাক্স ভিশন গ্রুপ অব কোম্পানি নামে শত শত মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এই চক্রের মূল হোতা আল আমিন।

ইন্টারভিউ নেওয়ার পর চাকরি হয়েছে জানিয়ে চক্রটি আবেদনকারীদের কাছ থেকে সিকিউরিটি মানি, পেনশন স্কিম এবং ব্যক্তিগত গাড়ি দেয়ার নামে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর নির্ধারিত তারিখে ভুক্তভুগীদের যোগদান করতে বলে চাকরি দাতারাই অফিস থেকে সটকে পড়তেন।

মোল্যা নজরুল আরও বলেন, এই চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে আটটি মামলা পাওয়া গেছে। এর আগে চাকরি দেয়ার প্রতারণার দায়ে চক্রের সদস্যরা একবার র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৮
পিএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।