বুধবার (১১ জুলাই) দুপুরে মিরপুরের শাহ অালীবাগের ১ নম্বর রোডের ১০৪ নম্বর হোল্ডিংয়ের অালী ডালিমের টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ইশা মণি সম্পর্কে আল আমিনের ফুপাতো বোন।
আব্দুল্লাহর বাবা শাহজাহান মিয়া সাভারের হেমায়েতপুরের একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ করেন। আর মা জান্নাতুল ফেরদৌসী গৃহবধূ। শাহ আলীবাগের ওই দোতলা টিনশেড বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন তারা।
ইশা মনির বাবা মো. রানা বাসচালক। মা নাসিমা আক্তার গার্মেন্টসকর্মী। থাকেন আব্দুল্লাহদের বাসার পাশেই। কাজে যাওয়ার আগে নিয়মিতই ইশাকে তার ভাই শাহজাহানের বাসায় রেখে যান নাসিমা।
জান্নাতুল ফেরদৌসী বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে ঘরে অাব্দুল্লাহ ও ইশা খেলছিলো, আর তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর অাব্দুল্লাহ কাঁদতে কাঁদতে তাকে ডাকতে থাকে। পরে তাদের মুখ দিয়ে অস্বাভাবিকভাবে লালা ঝরতে দেখে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখান থেকে বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে দু’জনকেই ঢামেক হাসপাতালে এনে পাকস্থলী ওয়াশ করা হয়। এরপর দু’জনকে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অাব্দুল্লাহর মৃত্যু হয়।
ফেরদৌসী বলেন, ‘কিছুদিন অাগে ইঁদুর মারার জন্য ওষুধ কিনে এনেছিলাম। আর তা রেখেছিলাম খাবার রাখার তাকের ভেতর। আমাদের মনে হচ্ছে দুপুরে খেলার সময় আব্দুল্লাহ চেয়ারে উঠে তাক থেকে ওই ওষুধ বের করে আচার মনে করে খেয়ে ফেলেছে। ’
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, আব্দুল্লাহর মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আর ইশা হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এজেডএস/এইচএ/