তিনি বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পর থেকেই এ ফিগারটা বাড়ছে।
বুধবার (১১ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য উম্মে রাজিয়া কাজলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক এমনই এক সর্বনাশা নেশা যাতে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনাকে ঘিরেই আমাদের সর্বাত্মক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মাদকের বিরুদ্ধে আমরা সর্বাত্মক প্রচেস্টা নিয়েছি। যৌথ তালিকা করে দেখছি কারা এর সঙ্গে জড়িত। তালিকার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার, এ মুহূর্তে আসামি রয়েছে ৮০ হাজারের অধিক। এ কারাবন্দিদের ৪৩ শতাংশই মাদক ব্যবসায় জড়িত কিংবা মাদক অপরাধে অপরাধী। অভিযান শুরুর পর এ ফিগারটা প্রতিদিনই বাড়ছে। অবৈধ ব্যবসা ও অপরাধী ধরতে গিয়ে কোনো কোনো জায়ায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বাধার সম্মূখিন হয়। মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপত্তা বাহিনীকে আক্রমণ করে বসে। সেগুলো প্রতিহত করছি।
চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রীকে গ্রামগঞ্জে দু’হাত তুলে ধরে মোনাজাত করা হচ্ছে বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি গ্রামেগঞ্জে যাচ্ছি। গ্রামের প্রত্যেক জায়গাতে সবাই দুই হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করছেন। তারা বলছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন সেটা যেন অব্যাহত থাকে। এ অভিযান যেন বন্ধ না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৮
এসএম/এসকে/এসএইচ