ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাড়ি চালকদের অর্ধেকেরই লাইসেন্স নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
গাড়ি চালকদের অর্ধেকেরই লাইসেন্স নেই

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সরকারি হিসেব মতে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত যানবাহনের সংখ্যা ৩৪ লাখ ৯৮ হাজার ৬২০টি। এরমধ্যে ২২ লাখ ৬ হাজার ১৫৫টিই মোটরসাইকেল। এসব যানবাহনের বিপরীতে ড্রাইভিং লাইসেন্সপ্রাপ্ত চালকের সংখ্যা ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৬ জন। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক চালকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদে এ তথ্য জানান। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।


 
মন্ত্রী জানান, দেশে পর্যাপ্ত ড্রাইভিং স্কুল ও ইনস্ট্রাক্টর না থাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক দক্ষ গাড়িচালক তৈরি হচ্ছে না। এ লক্ষ্যে বিআরটিএ যথাযথ পদ্ধতি ধারাবাহিকভাবে ড্রাইভিং ইনস্ট্রাক্টর ও ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুল রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত ১২৩টি ড্রাইভিং স্কুলকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে এবং ১৭৯ জনকে ড্রাইভিং ইনস্ট্রাক্টর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ওইসব ড্রাইভিং স্কুলের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দক্ষ ড্রাইভার তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে দক্ষ ও মানবিকগুণসম্পন্ন পেশাদার গাড়ি চালক সৃষ্টির লক্ষ্যে পেশাজীবী গাড়িচালকদের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
 
এছাড়া পেশাজীবী গাড়িচালকদের লাইসেন্স নবায়ন করার সময় দুইদিন মেয়াদি এ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ১৯ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের কার্যক্রম চলমান। তাছাড়া জাল লাইসেন্স বা ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্সধারী গাড়িচালক, যান্ত্রিক ত্রুটিপূর্ণ, রংচটা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে জরুরি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হচ্ছে।
 
দিদারুল আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে লক্কর-ঝক্কর মোটরযান যাতে রাস্তায় চলাচল করতে না পারে সে লক্ষ্যে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট ম্যানুয়েল পদ্ধতির পরিবর্তে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেওয়ার লক্ষ্যে চারটি বিভাগীয় শহরে ৫টি (ঢাকায় ২টি, চট্টগ্রামে ১টি, রাজশাহীতে ১টি ও খুলনায় ১টি) মোটরযান পরিদর্শন কেন্দ্র (ভিআইসি) স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  

এরইমধ্যে মিরপুরে ভিআইসি’র কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাছাড়া বিআরটিএ এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত ৯ হাজার ১৪৮টি মামলার মাধ্যমে ১ কোটি ৮৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় বিভিন্ন মেয়াদে ১৪৬ জনকে কারাদণ্ড এবং ৫২টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশন পাঠানো হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০১৮
এসএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।