ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সোমবার (০৯ জুলাই) বিকেলে সচিবালয়ে জাতীয় হজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) সানিয়া তাহমিনা বলেন, হজযাত্রীদের মেডিকেল রিপোর্ট তৈরির জন্য প্রো-ফর্মা অনেক আগে থেকেই আছে।
তিনি বলেন, সরকারিভাবে করলেও বিনা পয়সায় করা যায় না, ইউজার ফি দিতে হয়। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু বিপুল পরিমাণ হজযাত্রীদের সেবা করার সক্ষমতা অনেক সময় নেই। সেজন্য বাইরে থেকেও করতে পারেন। ব্লাড গ্রুপ, ব্লাড সুগার, এক্স-রে এবং ইসিজি পরীক্ষা হজযাত্রীরা করে নিয়ে এলে হবে।
ধর্মসচিব আনিছুর রহমান বলেন, এই চারটি পরীক্ষা বাইরে থেকেও (বেসরকারি) করে নিয়ে এলে হ্যাসেলটা কম হবে। এরপর তারা দু’টি টিকা নিয়ে চলে যাবেন।
গত ৩ জুলাই থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর আগামী ১৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু হলে এই সময়ে হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগ তো হয় হাবের পক্ষ থেকে।
সচিব বলেন, কোনো সমস্যা হবে না, যে যার দায়িত্বে পরীক্ষা করে নিয়ে আসতে পারবেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, এটাই (স্বাস্থ্যের চারটি পরীক্ষা) থাকুক।
হজ ব্যবস্থাপনা গতবারের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে দাবি করে ধর্মমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রী পরিবহনে গতবার সাড়া দেয়নি, এবার সেটা নেই। উন্নত হয়েছে। যার যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
ধর্মসচিব বলেন, সাউদিয়া এয়ারলাইন্স থেকে ৪৬ হাজার ৭৫৫টি এবং বাংলাদেশ বিমান থেকে ৫১ হাজারের বেশি টিকিট ইস্যু করা হয়েছে। অবশিষ্ট আছে ৩০ হাজারের কিছু বেশি, এটা হয়ে যাবে।
সৌদি থেকে সময়মতো সাড়া না পাওয়ার কারণে কিছু বিলম্ব হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, গতবছরে এই সময়ের চেয়ে অনেক অনেকগুণ এগিয়ে আছি। গতবছর এই সময়ে বিমানের ফ্লাইটের ৪-৫ দিন আগে মাত্র সাত হাজার টিকিট দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, এ যাবৎ বেসরকারিভাবে ১৩ হাজার ৪০০ ভিসা ইস্যু হয়েছে। গত বছর এই সময়ে কোনো ভিসা হয়নি। সৌদি দূতাবাস একদিনে ১০ হাজার ভিসা দেবে। তবে গত বছরের সময়ের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে আছি।
লিখিত বক্তব্যে ধর্মমন্ত্রী জানান, এ বছর হজে যাবেন এক লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন যাত্রী। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় হাজার ৭৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ জন যাত্রী। আগামী ২১ আগস্ট (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ১১ জুলাই আশকোনায় হজ কার্যক্রম শুরু হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, এবার ৫২৮টি হজ এজেন্সি হজ কার্যক্রম পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। হজ ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ১৪ জুলাই এবং হজ ফ্লাইট শেষ হবে ১৫ আগস্ট। হজের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ২৭ আগস্ট এবং শেষ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশ বিমান ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সাউদিয়া ১৮৮টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ৮৩১ হজযাত্রী পরিবহন করবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের পক্ষে অধিকাংশ এজেন্সি বাড়ি ভাড়া সম্পন্ন করেছে। এ বছর বালাদেশ বিমানের টিকিট পাওয়া সহজ করতে এজেন্সিগুলো সরাসরি বাংলাদেশ বিমান থেকে হজ যাত্রীর সমপরিমাণ টিকিট সংগ্রহ করতে পারবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস