ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সংসদে সংরক্ষিত আসন আরও ২৫ বছর  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৮
সংসদে সংরক্ষিত আসন আরও ২৫ বছর  

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আইন প্রণয়নে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালেই সংবিধানে বিশেষ কোটা চালু করা হয়। সেই থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ থাকছে।আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ  আরো ২৫ বছর নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন বহাল রাখতে সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) বিল-২০১৮ পাস করা হয়েছে।

রোববার (০৮ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সদস্যদের বিভক্তি ভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিকেল ৩টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।

 

অধিবেশনে বিলটির প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদসহ অধিকাংশ সংসদ সদস্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।  

সংশোধনীগুলো বিভক্তি ভোটের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। প্রথমে স্পিকার সংশোধনীগুলো ‘হ্যাঁ, না’ ভোটে দেন। উপস্থিত সংসদ সদসদের (এমপি) মধ্যে যারা ‘হ্যাঁ’ বলে হাত তুলেন তাদের ‘হ্যাঁ’ লবিতে গিয়ে নিজের ভোট দেন।  

দু’টি সংশোধনীর বিভক্তি ভোটে ‘হ্যাঁ’র পক্ষে ভোট পড়ে ২৯৫টি। ‘না’ পক্ষে পড়ে শূন্য ভোট। এই ভোট প্রক্রিয়ায় সাড়ে ৩শ’ এমপি অংশগ্রহণ করতে পারেন। এরমধ্যে স্পিকার এবং একটি আসন শূন্য হওয়ায় মোট ভোটার ছিল ৩৪৮টি।
 
বাকি সংসদ সদস্যরা উপস্থিত না  থাকায় ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাই ভোট পড়েছে ২৯৮টি।
 
যদিও বিলের জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, সেলিম উদ্দিন, রওশন আরা মান্নান, নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী।

 আরও পড়ুন>>
** 
** ঢাকায় ৩০ নগর পরিকল্পনাবিদের বিপরীতে আছেন ২ জন

সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, নারীরা এই ২৫ বছরে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। তাই ২৫ বছর নয় বিলটি ১০ বছর করে পাস করা উচিত।
 
তবে সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা  মান্নান বলেন, নারীদের জন্য ৫০টি আসন নয়, কমপক্ষে ৭৫টি হওয়া উচিত। যদিও আমি দাবি করছি ১৫০টি আসন। তা না হলে ৭৫টি আসন করে দেন।
 
তাদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এখানে শুধু রাজনীতি দলের সদস্যদের কথা বলা হয়নি। আজকে যেটা করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে মেয়াদ বৃদ্ধি।
 
এর আগে গত ১০ এপ্রিল সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের বিধানে সংশোধনী এনে সংসদে বিল উত্থাপন করা হয়।  
 
সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফায় সংশোধনী এনে বলা হয়েছে, ‘সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইন ২০১৮ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া পঁচিশ বৎসরকাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাংগিয়া না যাওয়া পর্যন্ত পঞ্চাশটি আসন কেবল মহিলা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং তাঁহারা আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তন্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন। ‌’
 
বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ১০ বছর। যা ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। এ জন্য এখন একাদশ জাতীয় সংসদ থেকে এই মেয়াদ আরও ২৫ করা হচ্ছে। তবে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের পদ্ধতি ও সংখ্যা বিদ্যমান নিয়মেই থাকছে।  

এদিকে জাতীয় সংসদে ২৯৮: ০ ভোটে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী পাস হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮/আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা
এসএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।