ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোটা কমিটির প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৮
কোটা কমিটির প্রতিবেদন ১৫ দিনের মধ্যেই বৈঠকের পর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন যুগ্ম সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন

ঢাকা: বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির পর্যালোচনা, সংস্কার ও বাতিলের সুপারিশসহ প্রতিবেদন ১৫ কর্মদিবসের মধ্যেই সরকারের কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বিধি) আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।

রোববার (০৮ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাকক্ষে কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে যুগ্ম সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

 

প্রথম বৈঠকে বসেছে কোটা সংস্কার কমিটি

বৈঠক শেষে আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কোটা সংক্রান্ত যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, আজ সেই কমিটির প্রথম মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকের মিটিংয়ে মূলত কমিটির কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

কর্মপন্থার বিষয়ে তিনি জানান, প্রথম ধাপ হচ্ছে কোটা সংক্রান্ত দেশে-বিদেশে যতো তথ্য রয়েছে বা আমাদের বিভিন্ন সময়ে গঠিত কমিশনের যে প্রতিবেদন রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সংগ্রহ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা দ্বিতীয় বৈঠকে বসবো। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই করবো। যদি না পারি সেটা পরে দেখা যাবে।  

প্রতিবেদন বলতে কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিবেদন, বিভিন্ন সময় সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবের ব্যক্তিগত প্রতিবেদনও রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি। চেষ্টা করছি যত দ্রুত পারি এসব প্রতিবেদন সংগ্রহ করার।  

পরবর্তী বৈঠক কবে হবে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব বলেন, এসব প্রতিবেদন সংগ্রহ করার পরই পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।  

প্রতিবেদন সংগ্রহ করার জন্য কতোদিন সময় দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে বলেন, আমাদের ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, আমরা ১৫ দিনের মধ্যেই রয়েছি।  

কোটা সংশ্লিষ্ট কোনো বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হবে কি-না জানতে চাইলে বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বৈঠক করবো, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আন্দোলনকারী যারা তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি দাওয়া করছে। তারা অনেকেই তথ্য না জেনে আন্দোলন করছে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী চাইছেন একটি সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে, সেজন্য এ কমিটি বাস্তবধর্মী এবং তথ্যগত বিষয় পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  

১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে বলেন, আমরা এখনো কোনো প্রতিবেদন পাইনি। পাওয়ার পর বৈঠকে বসবো, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো।  

এসব প্রতিবেদন পেতে কতোদিন লাগবে জানতে চাইলে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব করার। পারলে এক সপ্তাহের মধ্যেই করবো।  

এর আগে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়।  

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, অর্থ সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব অপরূপ চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদ, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব আকতারী মমতাজ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।