ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোটা আন্দোলন নেতা রাশেদকে নিয়ে ‘শঙ্কা’য় পরিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৮
কোটা আন্দোলন নেতা রাশেদকে নিয়ে ‘শঙ্কা’য় পরিবার সংবাদ সম্মেলনে রাশেদের পরিবারের সদস্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা:  কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খানকে নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন তারও কিছু-ই জানেন না তারা। 

পরিবারের সদস্যদের দাবি, আটকের ছয়দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত রাশেদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যায়নি। এসব কারণে পরিবারের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বড় শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

 

শনিবার (৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে (ক্র্যাব) এক সংবাদ সম্মেলনে রাশেদের বাবা নবায়েত বিশ্বাস এ শঙ্কার কথা তুলে ধরেন।

ছেলের মুক্তির দাবি জানিয়ে নবায়েত বিশ্বাস বলেন, আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই। এ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাদের অনেকের চিকিৎসা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, রাশেদকে আটকের আগের দিন ছাত্রলীগের দুইজন ছেলে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রানার নির্দেশে আমার বাড়িতে যান। তারা রাশেদের মোবাইল নম্বর চান। আমি বললাম, কে কথা বলবে? তখন তারা বলে, রানা কথা বলবে। তখন রানার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, আপনার সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সোহাগ কথা বলবেন।  

‘এরপর রানা আমার মোবাইল ফোনে সোহাগের নম্বর ম্যাসেজ করেন। আমি ওই নম্বরে কল দিই। অপর প্রান্ত থেকে সোহাগ পরিচয় দিয়ে আমাকে বলা হয়, আপনি কেমন সন্তান জন্ম দিয়েছেন? আপনার সন্তান কুলাঙ্গার। আমি তাকে বলি, কোনো বাবাই কুলাঙ্গার সন্তান জন্ম দেয় না। তখন সোহাগ পরিচয়ে ওই ব্যক্তি বলেন, আপনি আপনার সন্তানকে ওই পথ থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন, নইলে আপনার পুরো পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে এবং আপনার সন্তানকে গুম করে দেওয়া হবে। ’ 

রাশেদের বাবা বলেন, ‘সোহাগ পরিচয়ের লোকটির সঙ্গে কথা শেষ হওয়ার আধা ঘণ্টা পর বাড়িতে ১০টি মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন যুবক আসে। তারা ঝিনাইদহ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী পরিচয় দিয়ে আমাকে হুমকি দিয়ে যায়। ওই সময় তারা আমার স্ত্রী ও  ছোট মেয়েকেও অপমানজনক কথা বলে। ’
 
রাশেদের বাবা নবায়েত বিশ্বাস গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তারা জানান, পরিবারের কেউ-ই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।  

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমার পরিবার ও একমাত্র ছেলের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাইছি। আমার ছেলেকে ফেরত চাই।  
 
রাশেদের মা সালেহা বেগম বলেন, অন্যের বাড়িতে কাজ করে সন্তানের লেখা-পড়া চালিয়েছি। কিন্তু পাস করলেই তো আর চাকরি হয় না। তাই অন্যদের সঙ্গে সে-ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে গিয়েছিল। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এমএইচ/এনএইচটি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।