ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাচ্চাদের ফার্মের মুরগির মতো বড় করবেন না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৮
বাচ্চাদের ফার্মের মুরগির মতো বড় করবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/সংগৃহীত

ঢাকা: শিশুদের খেলাধুলা-শরীর চর্চার প্রতি তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বাচ্চাদের ফ্ল্যাটে বসিয়ে ফার্মের মুরগির মতো বড় না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
 

শনিবার (০৭ জুলাই) সকালে মতিঝিল সরকারি কলোনিতে নবনির্মিত বহুতল আবাসিক ভবন উদ্বোধনকালে আবাসিক এলাকায় মাঠ রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাচ্চারা ফ্ল্যাটে বসে থাকবে না।

তারা মাঠে খেলাধুলা করবে। বাচ্চারা যেন ফার্মের মুরগির মতো বড় না হয়।
 
নতুন ভবনের উদ্বোধন করার পর সেখানকার পুরনো জরাজীর্ণ ভবন ভেঙে মাঠ তৈরির নির্দেশনা দেন তিনি।
 
মতিঝিল সরকারি কলোনিতে বহুতল আবাসিক ভবন উদ্বোধনের পর আজিমপুর সরকারি কলোনিতেও বহুতল আবাসিক ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
আজিমপুরে আবাসিক ভবন উদ্বোধনকালেও প্রধানমন্ত্রী শিশুদের জন্য খেলার মাঠ, বড়দের জন্য হাঁটার জায়গা এবং জলাশয় রাখার তাগিদ দেন।
 
মতিঝিলে সরকারি কর্মচারীদের ৪টি ২০তলা ভবনে ৫৩২টি ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছে। এছাড়া মতিঝিলে তিনটি জোনে ভাগ করে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ৯ হাজার ফ্ল্যাট তৈরি হবে ক্রমান্বয়ে।
 
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪০ শতাংশ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতের অংশ হিসেবে মতিঝিল ও আজিমপুর সরকারি কলোনিতে প্রথম দফায় ৯৮৮টি ফ্ল্যাট নির্মাণ করেছে সরকার। এর মধ্যে মতিঝিলে ৪টি ২০তলা ভবনে ৫৩২ এবং আজিমপুরে ৬টি ২০তলা ভবনে ৪৫৬ ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হয়েছে। মতিঝিলে ব্যয় ২২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং আজিমপুরে ২৭৫ কোটি টাকা।
 
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পে ২০২০ সাল নাগাদ আরো ১৭টি ২০তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।
 
অনেক ভদ্রলোকও এটা করেন
 
এসব উন্নয়ন কাজ সঠিকভাবে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাসা-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থালে ফেলুন।
 
তিনি বলেন, অনেক ভদ্রলোকও এটা করেন। তারা বাসার ময়লা জানালা দিয়ে নিচে ছুড়ে ফেলেন। অনেকে আবার রাস্তায় চলতে চলতে, বাসে চলতে চলতে ময়লা ছুড়ে ফেলেন। আবার খেয়ে অবশিষ্টাংশ যেখানে সেখানে ছুড়ে ফেলেন, এসব করবেন না।
 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলশানের মতো জায়গায় দেখা যায় দুই ভবনের মাঝখানে ময়লা ফেলতে ফেলতে ময়লার ডিপো হয়ে গেছে।
 
নিজের কাজ নিজে করাতে লজ্জা নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে সচিব থেকে নিচের দিকের অনেক কর্মচারী আছেন, সবাইকে বলবো নিজের কাজ নিজে করলে লজ্জার কিছু নেই।
 
গৃহিণীদের দিকে তাকিয়ে না থেকে সবাইকে গৃহকাজে অংশ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
 
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির উৎপাদন ব্যয় ও ভর্তুকির কথা তুলে ধরে সবাইকে এসব ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
 
সরকারের সব পর্যায়ের কর্মচারীদের (সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব সদস্য কর্মচারী) জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় আমাদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা। সুতরাং জনগণের সেবা করুন।
 
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দবিরুল ইসলাম প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৮
এমইউএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।