বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১২৩ নম্বর কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এসময় লিখিত বক্তব্যে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের পক্ষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত মার্চ মাস থেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে দলমত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সম্প্রতি কিছু ঘটনা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে। এই আন্দোলন শুরুর পর থেকেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে পুলিশি হেনস্তা ও হুমকি ধমকির শিকার হতে হয়েছে। ’
এসময় সেলিম রেজা নিউটন বলেন, ‘ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগ দফায় দফায় সশস্ত্র হামলা চালায়। ধারাবাহিক আন্দোলনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নাগরিক সমাবেশেও পুলিশের হামলা হয়। এবং সেখানে শিক্ষকসহ কয়েকজন অভিভাবক লাঞ্ছিত হয়। কিন্তু হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। তবে আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার, মামলা দেওয়া ও রিমান্ডে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিণতি বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্বাধীন মতামত প্রকাশ, আত্মমর্যাদা ও জীবনের নিরাপত্তা আরো সংকুচিত করে তুলেছে বলে মনে করি। ’
এ সময় রাজশাহী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় যারা যুক্ত ছিল সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিচারের আওতায় আনা এবং আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা এবং যেসব শিক্ষার্থী গ্রেফতার হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সেলিম রেজা নিউটন, ড. মাহাবুবুর রহমান, আব্দুল্লাহ বাকী, কাজী মামুন হায়দার, শাতিল সিরাজ, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফোকলোর বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম, সুস্মিতা চক্রবর্তী, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বখতিয়ার আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮
আরএ