ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আবাসন নিশ্চিতে ঢাকা শহরের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৮
আবাসন নিশ্চিতে ঢাকা শহরের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: আবাসন নিশ্চিত করতে ঢাকা শহরের পরিধি বাড়ানো হচ্ছে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সঙ্গে সচেষ্ট রয়েছে। দেশের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মোট ২২টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্পসহ মোট ৪৪টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার প্রশ্নের উত্তরে এ সব কথা বলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মাথাপিছু জমির ক্রমহ্রাস, পরিবেশ অবক্ষয় এবং আন্তর্জাতিক বিরাজমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ‘জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা-১৯৯৩ (সংশোধিত- ১৯৯৯)’ পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন, সংশোধন ও সমন্বয় সাধনপূর্বক একে আরো বেশি কার্যকর ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সরকার জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা-২০১৬ প্রণয়ন করে। যা ২০১৭ সালের ২৭ জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে।  

আরও পড়ুন>>
** 
মেধাবীদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করতে পৃথক বেতন কাঠামো

এ নীতিমালায় মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয়সীমার মধ্যে আবাসনের দুষ্প্রাপ্যতা রোধকল্পে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত করা হয়েছে। গৃহায়ন নীতিমালার উদ্দেশ্যগুলো হলো- সবার জন্য উপযুক্ত বাসস্থান ও টেকসই মানব বসতি উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, পরিবেশগহ, কারিগরি, নৈতিক ও মানসিক দিক নির্দেশনা প্রদান করা। দ্বিতীয়ত ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুশাসন ও মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গৃহায়নের উদ্দেশাবলী প্রয়োগ।

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন জানান, গৃহায়ন সংক্রান্ত জাতীয় সংবিধান, জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার যথাযথভাবে প্রতিফলন করা, যাতে পশ্চাৎপদ, অবহেলিত ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করা হয় এবং দেশের পরিকল্পিত আবাসনের অন্তর্ভুক্তিকরণের উদ্দেশ্যে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আয় বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম নিতে বিশেষজ্ঞমূলক সেবা দেওয়া যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৮ 
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।