ফেনী পৌর এলাকায় আজমেরী বেগম সড়কের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আবদুল মতিনের বাড়িতে বুধবার (২৭ জুন) বিকেলে ধর্ষণ চেষ্টার এ ঘটনা ঘটে।
মেয়েটির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ সন্ধ্যার দিকে ধর্ষণচেষ্টাকারী বখাটে মাসুদ শেখের বাবা বাদশা শেখ, মা রহিমা খাতুন ও মামি তাসলিমা বেগমকে গ্রেফতার করে।
মেয়েটির মা মর্জিনা বেগম জানান, আজমেরী বেগম সড়কের ওই বাড়িতে আট বছর ধরে তারা ভাড়া থাকছেন। বুধবার দুপুরে মেয়েটি মাদ্রাসা থেকে আসার পর ১০ টাকার লোভ দেখিয়ে ঘরের পাশের একটি বাগানে নিয়ে বখাটে যুবক মাসুদ শেখ ধর্ষণের চেষ্টা করে।
মেয়েটি ওই বাগান থেকে বের হয়ে তার মাকে ঘটনাটি জানালে স্বজনরা বখাটেকে ধরতে চাইলে সে পালিয়ে যায়।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হাসান সাম্মি বলেন, বিকেলের দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মেয়েটি চিকিৎসা নিতে আসে। মেয়টির স্বজনদের অভিযোগ তাকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে গাইনি বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গাইনি বিভাগ বিস্তারিত জানাতে পারবে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) রাশেদ খান চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করার পর তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মাসুদ শেখ বাগের হাট জেলার মোড়লগঞ্জ থানার লক্ষ্মীখালী গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে। সে একই এলাকার বাসিন্দা।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৮
এসএইচডি/জেডএস