তিনি জানান, প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বরিশাল ও ঝালকাঠি দুই বাস মালিক গ্রুপই সমাধানে এসেছে।
সভা সূত্রে জানা গেছে, দাবি অনুযায়ী ঝালকাঠি সমিতির বাস সাতটি বাস রূপাতলী থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সাতটি রুটে চলাচল করবে।
বরিশাল রুপাতলী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বাংলানিউজকে জানান, প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠকের পর স্থায়ী সমাধানে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতিও রায়াপুর থেকে তাদের অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ডটি সরিয়ে নিয়েছে।
ঝালকাঠি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর বলেন, বরিশালে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় সমঝোতা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে ঝালকাঠি থেকে পটুয়াখালীতে প্রতিদিন সাতবার আমাদের বাস চলাচল করবে। এই ভিত্তিতে আমরা কালিজিরা থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে সমঝোতায় এসেছি।
এর আগে রুটের ন্যায্য হিসাব নিয়ে বরিশাল-পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির এবং ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির দ্বন্দে গতবছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চালনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিভাগীয় প্রশাসনের আশ্বাসে একাধিকবার বাস চালনা করা হলেও বরিশাল মালিক সমিতির কারণে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়।
চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বরিশাল থেকে ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনার বেশ কয়েকটি রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর সমঝোতা বৈঠক শেষে ১৩ জুন সকাল থেকে বরিশাল নগরীর রুপাতলীস্থ বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি ঝালকাঠি রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। সে সময়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০ জুনের মধ্যে ন্যায্য হিসাব নিয়ে সমাধান না হলে ২১ জুন থেকে আবারও সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার আল্টিমেটাম ছিল ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ জুন থেকে ঝালকাঠিতে বরিশালের বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ, মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম টিটু জানান, গত ২০ জুন ঝালকাঠি সমিতি তাদের বাস বরিশাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। বন্ধ করে দেয় বরিশাল থেকে ঝালাকাঠিসহ অন্যান্য রুটে বরিশাল সমিতির বাস চলাচল। তার মধ্যেই ২১ জুন রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে বরিশাল সমিতির বাস ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে রায়াপুর নামক স্থানে তাদের বাস আটকে দেয় ঝালকাঠি মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় যাত্রীবাহী বাস ঝালকাঠি বাস টার্মিনালে পৌঁছায়। সেখানে যাওয়া মাত্রই ঝালাকাঠির শ্রমিকরা বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া বাস ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধর করেন। এর প্রতিবাদে ওইদিন সকাল ১১টা থেকে বরিশাল থেকে পটুয়াখালী, বরগুনা, কুয়াকাটা, মির্জাগঞ্জ, বাউফলসহ অভ্যন্তরীণ ১৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৮
এমএস/এএটি