শুক্রবার (২২ জুন) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট সংশ্লিষ্টরা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ছোট-বড় মিলে ২০টি ফেরি চলাচল করছে।
সবশেষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেড় শতাধিক যাত্রীবাহী বাস ও ৮০/৯০টি ব্যক্তিগত গাড়ি নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়ছে। তবে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বেশি থাকার কারণে জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া অন্য ট্রাক পারাপার সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা লঞ্চঘাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফরিদুল ইসলাম জানান, সকাল থেকেই রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও পাবনার কাজিরহাট এলাকায় ঢাকামুখী মানুষের স্রোত রয়েছে। ঢাকামুখী যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ১৫টি লঞ্চ চলাচল করছে।
ঈদের উভয় লঞ্চঘাট এলাকায় ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক ছিলো। তবে সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় ভোগান্তিও কিছুটা বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাটুরিয়া নৌথানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মনছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে ঢাকামুখী মানুষের চাপ রয়েছে।
তবে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যথেষ্ট পরিমাণে লোকাল বাস রয়েছে। পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকা থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের তেমন কোনো ভোগান্তি হচ্ছে না।
তবে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়ও দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনের চাপ রয়েছে। সবশেষ পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি মিলে দেড় শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
অপরদিকে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ রয়েছে। তবে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এ পর্যন্ত কোথাও কোনো দুর্ঘটনার তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
কেএসএইচ/আরআর