ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

যমুনার ভাঙন আতঙ্কে এনায়েতপুরবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৮
যমুনার ভাঙন আতঙ্কে এনায়েতপুরবাসী ভাঙন আতঙ্কে এনায়েতপুরবাসী, ছবি: বাংলানিউজ

সিরাজগঞ্জ: বর্ষা মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই যমুনার ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার কয়েকটি গ্রামের অন্তত ২৫ হাজার মানুষ।

গত কয়েকদিনে অব্যাহত ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ কয়েকশ একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ফলে ভয়াবহ ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিকেলে জালালপুর, ব্রাহ্মণগ্রাম ও আড়কান্দির চর এলাকায় ঘুরে ভাঙনের ভয়াবহ চিত্র দেখা যায়।

ইতোমধ্যে ওই তিন গ্রামের অন্তত ৫৫টি ঘরবাড়ি বিলিন হয়ে গেছে। নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণগ্রাম কবরস্থান, মসজিদ ও মাদরাসাসহ শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে এনায়েতপুর তাঁত কাপড়ের, খাজা ইউনুস আলী  মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়, এনায়েতপুর-পাঁচিল আঞ্চলিক সড়কসহ আশপাশের ৫টি গ্রাম। ভাঙনরোধে কার্যকরি পদক্ষেপ না নেওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এ নদীর তীরবর্তী মানুষের মধ্যে।

খুকনী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মুল্লুক চাঁদ মিয়া ও জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ জানান, ঈদের আগের দিন থেকে হঠাৎ করেই যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়। এভাবে চলতে থাকলে জালালপুর, ব্রাহ্মণগ্রাম ও আড়কান্দির চরের বিশাল এলাকা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্তৃপক্ষ ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় হাজার হাজার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হুসাইন খাঁন বলেন, নদী ভাঙনের বিষয়ে পাউবোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের প্রস্তাব আশা করছি।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল আজিজ বলেন, প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে ভাঙনরোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে ডিজি অফিসের অনুমোদন এখনও আসেনি।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এনায়েতপুরকে রক্ষার জন্য ৮শ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ ও ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীখনন প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ প্রকল্পটি পাস হলেই নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে এ জনপদটি।

তবে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন ঠেকাতে প্রক্রিয়া চলছেও বলেও তিনি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।