অভিযানে ১০টি বসতবাড়ি এবং ২০টি বাণিজ্যিক স্থাপনা বুলডোজার ও স্ক্যাভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় খাগড়াছড়ি সদর ইউএনও মো. আবুল হাশেম ও পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত কয়েক বছর ধরে বেপরোয়াভাবে পাহাড় কেটে বসতবাড়ি এবং বাণিজ্যিক প্লট তৈরি করে তা ভাড়া দিয়ে আসছিল একটি চক্র। চলতি সপ্তাহে টানা বর্ষণের সময় ওই এলাকায় বড় রকমের পাহাড় ধস হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। বেশ কয়েকবার মাইকিং এবং মৌখিক নির্দেশে অবৈধ দখলদাররা অবস্থান ত্যাগ না করায় এই অভিযান চালানো হয়।
খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসের ঝুঁকি অনেক। পাহাড়ের পাদদেশে খাস জায়গার উপর অবৈধভাবে অনেকে বসবাস করছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আবুল হাশেম বলেন, টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। যেকোন সময় পাহাড় ধস এবং প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। বার বার সতর্ক করার পরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধ বাসিন্দারা না সরায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, ১৪ জুন, ২০১৮
এডি/আরআর