তাই বন্দরবাসীর দাবি ছিল শীতলক্ষ্যা নদীতে আরেকটি সেতু করা। কিন্তু সেটা করতে একটু সময় লেগে যাবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে হাজীগঞ্জ-নবীগঞ্জ খেয়াঘাটে ফেরির উদ্বোধন করা হয়েছে। এখানে দু’টি ফেরি চলবে এবং ঈদের দিন পর্যন্ত ফ্রি যাত্রী পারাপার করবে। এর সমস্ত ব্যয়ভার সেলিম ওসমান বহন করবেন। এছাড়া আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ৫ নম্বর খেয়াঘাটে আরো দু’টি ফেরির উদ্বোধন করা হবে।
সেলিম ওসমান বলেন, বন্দরবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল ফেরির ব্যবস্থা করা। আপাতত ঈদের আগে দু’টি ফেরির উদ্বোধন করা হয়েছে। ঈদের পরপরই আরো দু’টি সেতুর উদ্বোধন করা হবে। সব মিলিয়ে চারটি ফেরি সব সময় চলাচল করবে। এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আশাকরি এক মাসের মধ্যে সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
সড়ক ও জনপথের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বলেন, যেহেতু ব্রিজ দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই আপাতত ফেরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফেরি উদ্বোধন করা সম্ভব হয়েছে। ঈদের আগে এটাই বড় উপহার। আগামীতে সেতুও তৈরি হবে।
বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, বন্দরবাসীর জন্য আজকেই ঈদ। ফেরি হয়েছে, ব্রিজও হবে। এমপি সেলিম ওসমান বিচক্ষণ লোক। তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নেন। তিনি সব সময় বলে থাকেন উন্নয়নের জন্য আমরা সবাই এক।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিন্টু ব্যাপারি বলেন, আজকের দিনটি বন্দরবাসীর জন্য খুবই আনন্দের। আমাদের জন্য আজকেই ঈদ। ঈদের আগেই বড় ঈদের উপহার পেয়েছি। অচিরেই ব্রিজের স্বপ্ন পূরণ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
আরবি/