বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) বিকেল পর্যন্ত এ মহাসড়ক ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, মঙ্গলবার (১২ জুন) মহাসড়কের নির্মাণাধীন চার লেন সড়ক ও ২৩টি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী সোনিয়া পরিবহনের চালক রঞ্জু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, অন্যবার ঈদের আগে ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে ৮-১০ ঘণ্টা লেগে যেতো। এবার চার লেন সড়ক ব্যবহার করতে পারায় যানজটে পড়তে হচ্ছে না। মাত্র তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পৌঁছানো যাচ্ছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফুল হক বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার থেকে এ সড়কে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়ে গেছে। স্বাভাবিক অবস্থায় বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে ১২/১৩ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজার হিসেবে দেখা যায়, বুধবার সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ৭৭৫টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়েছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বাংলানিউজকে জানান, মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে ৮০০ পুলিশ ও ২০০ আনসার কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে মির্জাপুরের ধেরুয়া পর্যন্ত মহাসড়ক চারটি সেক্টরে ভাগ করে যানজটমুক্ত রাখার কাজ চলছে। প্রতি দুই কিলোমিটারে পুলিশের একটি মোবাইল টিম রয়েছে। এছাড়া ধেরুয়া রেলক্রসিং, টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের ঘারিন্দা মোড়, কালিহাতীর এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ যেসব এলাকায় যানজটের আশংকা রয়েছে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে অবৈধ ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও বাসের ছাদে যাত্রীবহনকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে মহাসড়কের চারটি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে মহাসড়কে তিনটি ভিজিলেনস টিমও কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এনটি