ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

সিডিউল বিপর্যয়, শঙ্কায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
সিডিউল বিপর্যয়, শঙ্কায় ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা শিডিউল বিপর্যয়, ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় যাত্রীরা

ঢাকা: ঈদে বাড়ি ফিরতে যাত্রীদের সর্বোচ্চ নির্ভরতার জায়গা রেলপথ। কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের চাপে তিল ধারণের জায়গা নেই। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। 

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজশাহী অভিমুখী সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও দেরি হয়ে তা ছাড়ার সময় নির্ধারিত হয়েছে ৪টা ৫০ মিনিটে। এছাড়া সিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কায় রয়েছে ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো।

স্পেশাল ট্রেনগুলো আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে।  

রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলো বেসরকারি মালিকানা ট্রেন, ঈদ স্পেশাল ও লোকাল ট্রেনগুলো স্বাভাবিক সময়েই কিছুটা দেরিতে চলাচল করে। আর ঈদে ঘরমুখো মানুষের প্রচণ্ড চাপে তা আরও পিছিয়ে যায়। তাছাড়া এই ট্রেনগুলোর আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর ক্রসিং-এ বা স্টেশনে ঢুকতে সিগন্যালের জন্য বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।  

এদিকে তীব্র গরমে ট্রেনের এই বিলম্বের কারণে ভোগান্তিতে আছে ঈদযাত্রীরা। সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের যাত্রী হুমায়রা বেলা ১টা থেকে বসে আছেন কমলাপুর রেলস্টেশনে। ধানমন্ডি থেকে আগত এই যাত্রী রাস্তার যানজটের কারণে আগেই রওনা দিয়েছিলেন। বাংলানিউজকে তিনি জানান, ১টার সময় স্টেশনে এসে ২টার দিকে জানতে পারলাম ট্রেন বিকাল ৫টায় ছাড়বে। আমার সঙ্গে আমার মা, ছোট বোন ও বাবা রয়েছেন। প্রচণ্ড গরমে আমাদের এই স্টেশনে বসে থাকতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আবার ভিড় ঠেলে ট্রেনে ওঠার যুদ্ধের বিষয় তো আছেই। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার আনন্দে এই কষ্ট চাপা পড়ে যাচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ অভিমুখী রাজশাহী এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা পর কমলাপুরের ৫ নম্বর প্লাটফর্মে এসেছে। ট্রেনটি বেলা ১২টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ২টায় কমলাপুরে এসে পৌঁছে ৩টায় ছেড়ে গেছে। আর ঈদ স্পেশাল ট্রেনগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট অভিমুখী ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ছিলো শিডিউল বিপর্যয়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে। সকাল সাড়ে ৯টায় ট্রেনটি ছাড়ার কথা থাকলেও তা বেলা ১২টার পর ছেড়ে গেছে।  

সব মিলিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ৬৯টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে বলে জানা গেছে।  

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, খুব বেশি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে না। অগ্রিম টিকিট বিক্রির দিনই আমরা ধারণা করতে পারছিলাম আজ উপচেপড়া ভিড় হবে। এরমধ্যেই চেষ্টা করছি সিডিউল ঠিক রাখতে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাওয়া-আসার সময় স্টেশনে উঠানামা করতে যেখানে ২ মিনিট অপেক্ষা করার কথা সেখান ৫/১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এই কারণে ট্রেন পৌঁছাতেও কিছুটা দেরি হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি যেন সঠিক সময়েই সব ট্রেন ছেড়ে যেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এমএএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।