ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী, বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী, বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী, বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ

মাদারীপুর: ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ঘাটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যাত্রীদের চাপও। উপচে পড়া ভিড়কে কাজে লাগিয়ে নৌযানে তোলা হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। আদায় করা হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যাত্রীদের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। নৌযানে করে ঝাঁকে ঝাঁকে যাত্রী এসে নামছে এ ঘাটে।

কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের চাপকে পুঁজি করে লঞ্চ, স্পিডবোটে আদায় হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। দেড় থেকে দুইগুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে নৌযান কর্তৃপক্ষ। শিমুলিয়া থেকে স্পিডবোটে আদায় হচ্ছে ১৩০ টাকার ভাড়া ২শ টাকা নেওয়া হচ্ছে। ছোট লঞ্চে ৩০ টাকার ভাড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি লঞ্চেই ছিলো অতিরিক্ত যাত্রী।

এদিকে কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে দূরপাল্লার পরিবহনেরও চলছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার উৎসব। নিয়ম লঙ্ঘন করে বাসের ছাদেও টেনে তোলা হচ্ছে যাত্রীদের।
নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী, বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ
লঞ্চলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে ভিড়ছে একেকটি লঞ্চ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেভেন স্টার থ্রি নামে একটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা লেখা রয়েছে ১৪০ জন। অথচ ওই ট্রলার থেকে কমপক্ষে ৩০৯ জন যাত্রীকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নামতে দেখা গেছে।

লঞ্চযাত্রী আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা হচ্ছে। দাঁড়িয়ে থাকারও যেন জায়গা নেই। তাও ৩০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা নিচ্ছে।

স্পিডবোট যাত্রী হেলেনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, স্পিডবোটের সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১৩০ টাকা। অথচ ভাড়া নিচ্ছে ২০০ টাকা। তবে স্পিডবোটের লোকজন ২৫০ টাকা করে ভাড়া চাইছেন।

বরিশাল, খুলনা, গোপালগঞ্জ, নড়াইলসহ দূরপাল্লার প্রতিটি যানবাহনেই দেড় থেকে দুইগুণ ভাড়া বেশি নিচ্ছে বলেও যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) মেরিন কর্মকর্তা আহমেদ আলী বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার (১৩ জুন) ফেরি ঘাটে তেমন চাপ না থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চাপ বেড়েছে। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যানজট নেই।

মাদারীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নদীতেও নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।