সায়েদাবাদে ঘরমুখো যাত্রী কম থাকায় হতাশ হয়ে কথাগুলো বলছিলেন কন্ডাক্টর চান মিয়া।
ঈদুল ফিতরের আর মাত্র একদিন বা দুইদিন বাকি।
সয়েদাবাদ জনপদ মোড়ে শ্যামলী, ইকোনো, হানিফসহ বিভিন্ন বাস কাউন্টারগুলোতে খুব একটা যাত্রী দেখা যায়নি। সিট পূরণ না হওয়ায় বেশির ভাগ বাসই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেরিতে ছাড়ছে।
জনপদ মোড়ের দুই পাশের কাউন্টারগুলোর একই দৃশ্য। কোনো কোনো কাউন্টারে কিছু যাত্রী থাকলে বেশির ভাগ কাউন্টারই ফাঁকা।
সায়দাবাদ মূল টার্মিনালের ভেতরের দৃশ্য আরও করুণ। এখানে একটা অংশে একজন যাত্রীও চোখে পড়েনি। অন্য একটা অংশে ৮/১০ যাত্রী দেখা গেছে। যাত্রী না থাকায় খোশ গল্প করে সময় কাটাচ্ছেন কয়েকজন বাসচালক, কন্ডাক্টর ও হেলপার। অনেকে আবার যাত্রী যোগাতে এদিক ওদিক ছুটোছুটি করছেন।
সিডিএন বাসের কন্ডাক্টর চান মিয়া বলেন, যাত্রী কম। এত কম বোঝাতে পারবো না। সকাল থেকে শুধু চিল্লায়ে যাচ্ছি। যাত্রী নাই। গলা বসে গেছে। ঈদের আগে এ সময় যাত্রীর চাপ সামাল দিতে গিয়ে যেখানে আমাদের বেগ পেতে হতো সেখানে ডাকাডাকি করেও যাত্রী পাই না। আমরা এবার ভাতে মরবো।
তিনি জানান, এবার ছুটি কম। মেঘনা ও গোমতি ব্রিজের জ্যামের ভয়ে অনেকে বাড়ি যেতে সাহস পাচ্ছেন না। আবার অনেকে লঞ্চে চাঁদপুর গিয়ে সেখানে থেকে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীর দিকে যাচ্ছেন।
ইকোনো বাস কাউন্টারের ম্যানেজার তানভীর বলেন, জ্যাম শুনতেছি কিছু আছে। সকাল ৭টা পর্যন্ত যাত্রীর কিছুটা চাপ ছিল। এরপর থেকে যাত্রী অনেক কম।
হামীম পরিবহনের সাখাওয়াত বলেন, বাড়ি যেতে খরচ আছে। অনেকে দুই তিন দিনের ছুটিতে এত কষ্ট করে, এত টাকা খরচ করে বাড়ি যেতে চান না। এজন্যই হয়তো যাত্রী কম।
তিনি বলেন, আজ বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ হবে আশা করছি। আগামীকালও ঘরমুখো যাত্রীর চাপ থাকবে। কিন্তু আগের ঈদের মতো এবার যাত্রী পাবো না আমরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এমইউএম/এনএইচটি