ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জায়নামাজ-ছাতা ছাড়া ঈদগাহে কিছুই নেওয়া যাবে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
জায়নামাজ-ছাতা ছাড়া ঈদগাহে কিছুই নেওয়া যাবে না ঈদাগাহে ব্রিফ করছেন ডিএমপি কমিশনার/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঈদ-উল-ফিতরের নামাজে মুসল্লিরা জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কোনকিছু আনতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহে প্রবেশের সময় কয়েকটি পয়েন্টে মুসল্লিদের তল্লাশি করা হবে।

কেউ কোনো ধরনের ব্যাগ, ছুরি-কাচি, মোবাইল ফোন, দাহ্য পদার্থ নিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র জায়নামাজ এবং বৃষ্টি থাকলে ছাতা ছাড়া অন্য কোনকিছু কেউ বহন করতে পারবেন না।

তল্লাশির সময় পুলিশ সদস্যরা মুসল্লিদের সঙ্গে আনা জায়নামাজ বা ছাতা খুলে দেখতে চাইলে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে পুরো নগরীজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন ও সমন্বিত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদের ঈদ জামাত ঘিরে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।

জাতীয় ঈদগাহের পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চতুর্দিকে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বেস্টনি গড়ে তোলা হবে। জামাতে আসার সময় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাসির পর মুসল্লিদের আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। মূলগেট দিয়ে প্রবেশের সময় তাদের আবারো তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। পুলিশের বিশেষায়িত সব শাখাগুলোর অফিসাররা সার্বক্ষণিক কাজ করবেন এবং সিসিটিভির মাধ্যমে পুরো এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারিতে থাকবে।

দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ সদস্যদের জামাতে নামাজ আদায় করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তাদের জন্য বেলা ১১টায় আলাদা ঈদের জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঈদে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তায় অফিস, শপিংমলগুলোতে বাড়তি নজরদারি থাকবে। প্রত্যেক এলাকার চেকপোস্টগুলোতে তল্লাশি বাড়ানো হবে এবং এলাকাভিত্তিক সিকিউরিটি গার্ডদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদে নিরাপত্তায় সুস্পষ্ট কোন হুমকি নেই। তারপরেও ২০১৬ সালে শোলাকিয়া ময়দানে হামলা চেষ্টা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
পিএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।