কমলাপুর ও বিমানবন্দর স্টেশনে ৫০ জন কেটে রাখেননি এমন মানুষজনও এসেছেন স্টেশনে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে হবে এ শক্তি মনে সঞ্চয় করে অনেকে টিকিট ছাড়াই কমলাপুরে।
কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেল স্টেশনে ৬৫ থেকে ৭০ জন টিটিই (ট্রাভেলিং টিকিট এক্সামিনার) ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রি করছেন। কমলাপুর স্টেশনের প্রবেশ পথেই এরা দাঁড়িয়ে আছেন। বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছে এরা টিকিট বিক্রি করছেন।
প্রথমে যাত্রীদের চেক করা হচ্ছে টিকিট না থাকলে ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এসব টিকিটে ট্রেনের নাম ও আসনের কথা উল্লেখ নেই।
নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী রিপন হোসেন। গন্তব্য নীলফামারী। পুরান ঢাকায় গাড়ির গ্যারেজে কাজ করেন তিনি। ছুটি পেয়ে সরাসরি কমলাপুরে এসেছেন। সঙ্গে নেই অগ্রিম টিকিট, তারপরও কিছুএকটা ব্যবস্থা হবে এমন আশা নিয়ে কমলাপুরে এসেছেন।
রিপন বলেন, ঈদে বাড়ি যাওয়ার কোনো ইচ্ছা ছিল না। বস হঠাৎ করে ছুটি দিয়েছেন, তাই বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে কমলাপুরে এসেছি।
তবে এসব মানুষকে নিরাশ করছে না কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। এখানে মিলছে ভ্রাম্যমাণ টিকিট। ৫০ টাকা বাড়তি দিয়েই এই টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভ্রাম্যমাণ টিকিট মানে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে হবে।
ঢাকা থেকে নীলফামারী শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫০৫ টাকা, দিতে হচ্ছে ৫৫৫ টাকা। ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত শোভন চেয়ারের ভাড়া ১১৫ টাকা, কিন্তু যাত্রীদের আরও ৫০ টাকা বাড়তি ভাড়া দিতে হবে।
কমলাপুরের স্টেশন মাস্টার সাখাওয়াত হোসেন খাঁন বলেন, কেউ যাতে বিনা টিকিটে ভ্রমণ না করে সেজন্য তাদের কাছে ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। সব সময় এ টিকিটে ৫০ টাকা বাড়তি। এটা সরকারি নিয়ম।
ভ্রাম্যমাণ টিকিটের যাত্রীরা অনেকে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করছেন।
কমলপুর থেকে বাড়তি ভাড়া দিয়ে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করছেন সাইদুর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, টিকিট কাটছি, কিন্তু কোনো সিট নাই, তাই ছাদে বাড়ি যাচ্ছি। ১১৫ টাকার টিকিট ১৬৫ টাকা দিয়েছি সিরাজগঞ্জে যাওয়ার জন্য। ছাদে অনেক কষ্ট তারপরও বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করবো এতেই শান্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ