বুধবার (১৩ জুন) সকালে এ বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করেন কাশিপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে জব্দ করা চালগুলো ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান, গুদাম মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাশিপুর বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের আওতায় হতদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারকে ভিজিএফের চাল দেওয়ার জন্য কাশিপুর ইউনিয়নে ৫২৮৪টি কার্ডের বিপরীতে ৫২ দশমিক ৮৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মন্ডলকে ৯ জুন চাল উত্তোলন ও ১১ জুন বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু ৫২৮৪টি কার্ডের মধ্যে ৩৪৮৪ টি কার্ডের চাল বিতরণ হলেও ১ হাজার ৪শ’ কার্ডের চাল ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে উদ্ধার হয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, সকালে উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের মৃত রহমত মাস্টারের ছেলে শাহাদৎ হোসেন মিন্টু ও চাঁন্দ মিয়ার ছেলে রমজান আলীর গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ভিজিএফের চাল ট্রলিযোগে অন্যত্র সরানো হচ্ছে এমন সংবাদ পাওয়া যায়। পরে ওই সংবাদের ভিত্তিতে কাশিপুর কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সহিদের নেতৃত্বে বিজিবির টহলদল অভিযান চালিয়ে ভিজিএফের ৪৫৬ বস্তা চাল জব্দ করে। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে গুদাম মালিকসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়।
লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধীন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার সহিদ ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বিজিবি বাদী হয়ে দুই গুদামের মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মন্ডল মোবাইলে জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। তবে ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ভিজিএফের চাল উদ্ধারের খবর শুনেছি।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভিজিএফের চাল বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের জন্য বিজিবিকে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এফইএস/ওএইচ/