বুধবার (১৩ জুন) ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ৭২৭ নম্বর খুলনা-চিলাহাটিগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকা যাত্রী তামান্না সানজিয়া সিনথিয়া সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুই ছেলেকে নিয়ে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ঢাকা থেকে ৭২৬ নম্বর সুন্দরবনে আসা যাত্রী চাকরিজীবী মেজবা-উল-হক বাংলানিউজকে বলেন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে কুষ্টিয়ার পোড়াদহ শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে যাচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় মহাসড়কে। ঢাকা-খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময় থেকে দু’ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে। ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বাড়ি যাওয়াটা বেশ দুর্ভোগে পড়তে হয়।
দেড় বছরের শিশু তাসছিনকে নিয়ে ট্রনের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছি, কষ্ট তেমন হচ্ছে না। ট্রেন দেরিতে ছাড়লেও বেশ স্বস্তিতে আছেন— যোগ করেন তিনি।
এদিকে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭২৮ নম্বর রূপসা সীমান্ত এক্সপ্রেস দুপুর ১টা ১০ মিনিটে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে আসার কথা থাকলেও প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে এসে পৌঁছায়। রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময় থেকে প্রায় একঘণ্টা দেরি করলেও ওই ট্রেনের যাত্রীরা দুর্ভোগ মনে না করে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ছুটির দিনের কারণে অন্যদিনের তুলনায় বুধবার সব ট্রেনেই যাত্রীদের ভিড়। গত বছরের তুলনায় এবছর ট্রেনে যাত্রী বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের গতি কমেছে। তাই ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময় থেকে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের ট্রেনে ওঠা-নামায় বেশ সময় লেগে যায়। ট্রেনযাত্রায় তাদের একটু নিরাপদে ওঠা-নামার জন্য ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় দেখা যায়। তবে নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো যেন চলাচল করে সে চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যাত্রীরা যেভাবে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কেটেছেন, ঠিক তেমনি সুন্দরভাবে স্বস্তিকর পরিবেশে তাদের পৌঁছে দেওয়াটাও রেলওয়ে কতৃপক্ষের দায়িত্ব।
ট্রেন কিছুটা বিলম্ব হলেও যাত্রা আনন্দদায়ক ও স্বস্তিকর হোক এমনি প্রত্যাশা করেন রেল কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
জিপি