বুধবার (১৩ জুন) ভোরে সাদুল্যাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জয় কুমার মহন্তের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে আজাদুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করে।
সঞ্জয় কুমার মহন্ত বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে ধাপেরহাট ইউনিয়নের দুস্থ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণের জন্য দেওয়া ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির চাল চুরির খবর পেয়ে আজাদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাদুল্যাপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মনির বাংলানিউজকে জানান, ঈদ উপলক্ষে ধাপেরহাট ইউনিয়নের ৩৭৮৫ সুবিধাভোগীর জন্য মাথাপিছু ১০ কেজি করে মোট ৩৭.৮৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণের দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, জনপ্রতিনিধি ও এক শ্রেণির দালাল সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ না করে তিন-চতুর্থাংশ চাল কালোবাজারে বিক্রি করেছেন। এর ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে চাল উদ্ধার করে। এছাড়া সাদুল্যাপুর উপজেলার অন্য ইউনিয়নগুলোতে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধাপেরহাট ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য লাইলি বেগম জানান, দুই-তিনটি ওয়ার্ডের কিছু সুবিধাভোগী চাল পেলেও তাদের ওজনে কম দেওয়া হয়। এছাড়া সুবিধাভোগীদের নামে স্লিপ তৈরি করে সেই স্লিপ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন চেয়ারম্যান ও কয়েকজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। এতে বাঁধা দিলে তাকে লাঞ্ছিত করেন চেয়ারম্যানের লোকজন। এ ঘটনা জানাজানি হলে পরিষদ চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠুভাবেই পরিষদে সুবিধাভোগীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। চাল উত্তোলনের পর ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছে সুবিধাভোগীরা। সেই চাল প্রশাসন উদ্ধার করেছে। এখানে চাল বিক্রি বা উদ্ধারের সঙ্গে পরিষদের কেউ জড়িত নয়। মূলত এটি আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও প্রতিপক্ষের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এসআই