ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মৌলভীবাজারের ধলাই-মনু নদের পানি বিপদসীমার ওপরে, ভাঙন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
মৌলভীবাজারের ধলাই-মনু নদের পানি বিপদসীমার ওপরে, ভাঙন বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবি বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে ধলাই নদের পাঁচটি ও মনুর তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

ভাঙনের কারণে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ।

ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে মনু নদ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, মনু নদের পানি বিপদসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলাই নদের পানি ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

জানা যায়, কমলগঞ্জ পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর ও উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সুরানন্দপুর, কেওয়ালিঘাট, রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে ও ফসলি জমিতে। এছাড়া উপজেলার মাধবপুর, ইসলামপুর, কমলগঞ্জ সদর ও আদমপুর ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের নয়টি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে, মনু নদের কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল, চাতলাপুর ও টিলাগাঁও ইউনিয়নের বালিয়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। যার ফলে মাতাবপুর, মাদানগর, চক রণচাপ, হাসিমপুর, বাড়ইগাঁও ও মন্দিরাসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এছাড়া উপজেলার সাধনপুর, কাউকাপন, বাশউরী ও নোয়াগাঁও এলাকায় বাঁধ চুইয়ে ও কোনো স্থানে উপচে পানি এসে প্রায় তিনশ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।  ছবি বাংলানিউজ

ভারতের উজানে ভারী বর্ষণের কারণে ফলে এ দুই নদে পানি বাড়ছে। ফলে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট ও আউশ ধানের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। আসন্ন ঈদের প্রস্তুতির সময় বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।  

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পানি আরো বাড়তে পারে। এতে করে বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কে রয়েছে মানুষ।

পানি উনয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, ভারতের উজানে এখনও বৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় মনুর পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মনুর পানি হাই ফ্লাড লেভেলে রয়েছে। আমরা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।