মঙ্গলবার (১২ জুন) দুপুরে পাবনা সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার সাঁথিয়া উপজেলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের অড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিন্মমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর শূন্য পদে নিয়েগের জন্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে পরীক্ষা দিতে আসা মো. মিলন হোসাইন বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহিদুল্লাহ মিলে উৎকোচের বিনিময়ে এক প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার অপতৎপরতা চালায়। পরে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা নিতে পারেনি তারা। ভাড়া করে তিনজনকে এনে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, উৎকোচ নেওয়া হয়নি, তবে এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতির নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়ার জন্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের চাপ ছিল বলেই এমন গুজব ছড়ানো হয়েছে। তবে সুষ্ঠুভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে ইতোমধ্যেই সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দকুর রহমান, পাবনা সরকারি বলিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে এই নিয়োগ বোর্ডের সদস্য করা হয়। সেই মোতাবেক আমরা পরীক্ষা নিতে চেয়েছিলাম। পরীক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার পরীক্ষা হয়নি, পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী ওই শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
আড়িয়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সম্পূর্ণ নিয়মানুযায়ী আমরা ওই পদে লোক নিয়োগের চেষ্টা করছিলাম। বহিরাগত কতিপয় সন্ত্রাসীরা এসে পরীক্ষা ভণ্ডুল করে দেয়।
পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিন বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে ন্যূনতম তিনজন উপস্থিত না থাকায় পরীক্ষা নিতে একটু দেরি হয়। বিকেল ৪টার দিকে তিনজন পরীক্ষার্থী উপস্থিত হলে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করলে কতিপয় বহিরাগতরা এসে বাধা দেয়। পরে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দকুর রহমান বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিয়মের মধ্যে থেকেই নিয়োগ দিতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩২ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৮
আরআর