ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘ও মা-রে আমি এখন কার কাছে যাবো’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
‘ও মা-রে আমি এখন কার কাছে যাবো’ মাকে হারিয়ে সুলতানার আহাজারি

ঢাকা: ‘ও আম্মা, আম্মা গো, ও-মা, মা-রে আমি এখন কি করবো, আমি কার কাছে যাবো।’ দুই শিশু তাদের মাকে হারিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এভাবেই চিৎকার করে কান্নাকাটি করছে। অনেকেই শিশু সুলতানার কান্না দেখে নিজের চোখের পানি মুছে তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে। 

মঙ্গলবার (১২ জুন) বিকেলে ঢাকার জুরাইনে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতের আওয়াজে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের মা চায়না আক্তার। পরে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত চায়নার তিন সন্তান, বড় মেয়ে সুলতানা (১০), সাব্বির (৮) ও নাইমা (৪)। অনেক আগেই তাদের ফেলে চলে গেছে বাবা।

চায়না তার তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে থাকতেন জুরাইনের বাগানবাড়ি এলাকায়।

চায়না মেসে ভাত রান্না করতেন ও তার মেয়ে সুলতানা, ছেলে সাব্বির স্থানীয় একটি ইলেট্রনিক্স কারখানায় চাকরি করে। তাদের তিনজনের উপার্জন দিয়ে সংসার চলতো।

দুইদিন আগে চায়না তার তিন সন্তানকে ঈদের জামাকাপড় কিনে দিয়েছেন। কথা ছিলো তিন ভাইবোন তাদের মাকে নিয়ে নানাবাড়ি যশোরে ঈদ করবে।

ঘটনার সময় সুলতানা ও তার ছোট ভাই সাব্বির কারখানায় কাজে ছিলো। অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে বাসায় ছুটে এসে দেখে তাদের মা অচেতন। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় চায়নাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

প্রতিবেশী নয়ন তারা জানান, চায়নার স্বামী প্রায় ৫ বছর আগে সন্তানদের রেখে অন্য জায়গায় চলে যায়। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই।  

মায়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে শিশু সুলতানা কি করবে বুঝতে পারছিলো না। তার ছোট ভাই সাব্বির এদিক-সেদিক তাকাতে থাকে। কি হয়েছে তারা ঠিক বুঝতে পারছিলো না।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া জানান, চায়নার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এজেডএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad