ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বৃষ্টি স্বস্তির হলেও দুর্ভোগে রাজধানীবাসী

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
বৃষ্টি স্বস্তির হলেও দুর্ভোগে রাজধানীবাসী বৃষ্টি (ফাইল ছবি)।

ঢাকা: তীব্র গরমের পর বৃষ্টি স্বস্তির ব্যাপার হলেও রাজধানীতে রয়েছে তার পাশাপাশি ভোগান্তিও। অল্প বৃষ্টিতেই রাজধানীর বিভিন্নস্থানে জলাবদ্ধতার কারণে স্বস্তি-ভোগান্তি- এই দ্বৈত অবস্থার সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার (১২ জুন) দুপুরের পরই রাজধানীজুড়ে শুরু হয় বজ্রসহ বৃষ্টিপাত। যদিও সকাল থেকে আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন থাকায় রোদের তীব্র তাপদাহ ছিল না।

তবে গরম ছিল বেশি।
 
আবহাওয়া অধিদফতরের মতে, আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ ভাগ। এছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম/দক্ষিণ দিক থেকে ১০-১৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা দমকা হাওয়ায় ৩০-৩৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে প্রবাহিত হতে পারে।
 
সেইসঙ্গে মাঝারি বর্ষণের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতার মাধ্যমে সৃষ্ট ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন বাংলানিউজের সংবাদকর্মীরা।
 
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট সেরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, হাতিরঝিল, গুলশান ও বারিধারা এলাকায় চলছে ঝুম বৃষ্টি। সঙ্গে ধুমধাম বজ্রপাত। প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে হালকা বৃষ্টি শুরু হলেও পরে গতিবেগ বাড়ে। রাস্তায় পানি জমছে। গরমে অতিষ্ট নগরবাসীর কাছে স্বস্তির বৃষ্টি এখন অনেকটাই দুর্ভোগে রূপান্তরিত হয়েছে।

সচিবালয় এলাকা থেকে স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ইসমাইল হোসেন জানান, পল্টন-গুলিস্তান এলাকায় মেঘের গর্জনসহ মুষলধারে বৃস্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টিতে স্বস্তি নেমে এলেও অফিস ফেরত মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। বাসে উঠতে না পেরে ইফতারে দেরিতে বাসায় পৌঁছানোর দুঃচিন্তায় রাস্তার পাশে বিরক্তিকর মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আবার পরিবহনের অপেক্ষায় অনেককে ভিজতেও দেখা গেছে।
 
জজকোর্ট এলাকা থেকে স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট মবিনুল ইসলাম জানান, পুরান ঢাকা এলাকায় বৃষ্টিতে পানি জমে জলাবদ্ধতার ঘটনা খুব স্বাভাবিক। আর এই এলাকার মানুষও তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বৃষ্টি হয়েছে বজ্রসহ। তাই মানুষজন রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে হাটতেও আতঙ্কগ্রস্ত থাকতে দেখা গেছে। জজ কোর্ট এলাকা ছাড়াও ভিক্টোরিয়া পার্ক, সূত্রাপুরসহ পুরান ঢাকার প্রায় সব এলাকাতেই একই অবস্থা। শুধুমাত্র সদরঘাট এলাকার আশপাশে পানি জমার ঘটনা কম ঘটে, পাশে নফি থাকার কারণে।
 
জলাবদ্ধতার এলাকা নামে খ্যাত মিরপুর থেকে সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মফিজুল সাদিক জানান, মিরপুর ১০নম্বর থেকে শেওড়াপাড়া এলাকার আগ পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া মিরপুর ১, ১৪ এলাকায় জলাবদ্ধতা রয়েছে। এ কারণে রাস্তায় দীর্ঘ যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্পের কারণে বৃষ্টি হলেই রাস্তা কাদাময় হয়ে যায়। আর তাতেও পথচারীদের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।