ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাঞ্জাবি-টিশার্টের জন্য আজিজ মার্কেট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
পাঞ্জাবি-টিশার্টের জন্য আজিজ মার্কেট পাঞ্জাবি পছন্দে ব্যস্ত এক শিশু ক্রেতা/ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আজিজ সুপার মার্কেটের পোশাকের অনেক সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে টি-শার্ট ও পাঞ্জাবির। এজন্যই কষ্ট করে এতোদূর আসা। এবছর দাম কিছুটা বেশি। তবে নতুন নতুন কালেকশন রয়েছে। নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কিনতে পারি।  জন্য প্রতিবছর পাঞ্জাবি নিতে আজিজে আসা হয়।

রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে সীমিত বাজেটের মধ্যে পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনতে এসে একথা বলেন মিরপুর থেকে আসা শহীদুল ইসলাম।  

ছেলেদের বিভিন্ন ধরনের পোশাকের পাশাপাশি মেয়েদের জামার জন্য বেশ পরিচিতি রয়েছে এ মার্কেটের।

ঈদুল ফিতরের সময় কাছাকাছি হওয়ায় মার্কেটগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের বেচাকেনা।
 
মঙ্গলবার (১২জুন) সকাল থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ছেলেরা পছন্দ করে পাঞ্জাবি কিনছেন। আবার অনেকে পরিবারসহ এসেছেন। অন্য সময় টি-শার্ট বেশি বেচাকেনা হলেও ঈদ উপলক্ষে পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। অন্যদিকে মেয়েদের থ্রি-পিছের চাহিদা শীর্ষে। তবে বিকেলে বৃষ্টির পর থেকে ক্রেতাদের উপস্থিতি কিছুটা কমে যায়।
 
দ্বিতীয় তলায় ফ্যাশন হাউস লণ্ঠনের মালিক উজ্জ্বল আকাশ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি থাকে। ঈদে মানুষ অন্তত একটা পাঞ্জাবি হলেও কেনে। পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ভালো বিক্রি হচ্ছে। আমাদের পাঞ্জাবির মূল্য এক হাজার থেকে আড়াই হাজার পর্যন্ত।
কেনাকাটায় ব্যস্ত তরুণী 
বৈরী আবহাওয়ায় লোকসমাগম খুব একটা দেখা যায় না মন্তব্য ‘বৃত্ত’র বিক্রয়কর্মী তানজীল হোসেন রুবেলের। তিনি বলেন, কখনো প্রচণ্ড গরম, আবার হঠাৎ বৃষ্টি নামে। দুপুরের পর বৃষ্টিতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কমে গেছে। আশা করছি শেষ দিকে আরও ভালো হবে। পাঞ্জাবির পাশাপাশি পোলো শার্ট ভালো চলে। তবে টি-শার্টের জন্য আজিজ বিখ্যাত হলেও ঈদে এর চাহিদা কম।
 
বাচ্চাদের পোশাক, শাড়ি-পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টু-পিসে নারী-পুরুষের পোশাকের সমাহারে সাজানো অন্যতম বিক্রয় প্রতিষ্ঠান ‘টাচ’ এর মালিক মো. লিয়াকত আলী। তিনি বলেন, সারাবছর বেচাকেনার জন্য শ্রেষ্ঠ সময় হিসেবে রমজানের ঈদের জন্য অপেক্ষা করি। কিন্তু এবার মন্থরগতি। গতবারের চেয়েও কম।
 
বেচাকেনা কম হওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, পাবলিকের হাতে টাকা-পয়সা কম। আজিজ মার্কেট রাজধানীর মোটামুটি সেন্টারে হলেও এখানে এক ধরনের ভ্যাপসা গরম লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া নেই কোনো গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এজন্য ক্রেতাদের একটা বড় অংশ থেকে আমরা বঞ্চিত হই। এমনিতেই এ মার্কেটের সুনাম রয়েছে। পার্কিং ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা গেলে মার্কেটটি আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠতো।
 
দোতলার মাঝামাঝি ‘বকুল’স’ নামের বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের লেডিস কালেকশন। বকুল’স-এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আবির হোসাইন বলেন, বেচাকেনা খুবই কম। ‘নন সিজন’ এর মতোও হয় না। আজ ২৬ রোজা, অন্য বছর এদিনে প্রচুর ব্যস্ততা থাকলেও আজ কোনো চাপ নেই। আশা করছি ঈদের আগের দুই থেকে তিনদিন একটু ভালো বেচাবিক্রি হবে।
 
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে আসা আইরিন আক্তার বলেন, এখানে কাপড়ের কালেকশন, কোয়ালিটি তুলনামূলক ভালো। ফিক্সড প্রাইস থাকায় সাধ্যানুযায়ী কেনা যায়। এছাড়াও মোটামুটি গোছালো মার্কেট হওয়ায় কেনাকাটায় সুবিধা হয়। গরম হাওয়ায় খানিকটা অস্বস্তি লাগে। তবে পছন্দের পোশাক পেলে সেটা আর কষ্ট মনে হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৮
এসকেবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad