স্থানীয় সময় শুক্রবার (০৮ জুন) বেলা ২টায় এয়ার কানাডার একটি ফ্লাইটে শেখ হাসিনা কুইবেক সিটির জিন লিসাজ বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজানুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৯টায় টরন্টোর পিয়ারসন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-২৪১ ফ্লাইটটি। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর এমিরেটসের ইকে-৫৮৭ ফ্লাইটে দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন শেখ হাসিনা।
দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি দিয়ে শুক্রবার ভোরে সেখান থেকে ইকে-২৪১ ফ্লাইটে টরন্টো যান প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা।
এদিকে সফরে কুইবেক সিটির হোটেল চাতিউ ফ্রন্তেনায় থাকছেন প্রধানমন্ত্রী। জি-সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগদানের পাশাপাশি তিনি কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সফরের প্রথম দিন শুক্রবার (৮ জুন) রাতে প্রধানমন্ত্রী কানাডার গভর্নর জেনারেলের দেওয়া নৈশভোজে অংশ নেন। শনিবার (৯ জুন) সকাল থেকে জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে অংশ নেবেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট, ক্যারিবিয়ান কমিউনিটির চেয়ার হাইতির প্রেসিডেন্ট, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, আইল্যান্ডসের প্রেসিডেন্ট’ নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী, আফ্রিকান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ার রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সেনেগালের প্রেসিডেন্ট, সেসেলসের প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট, ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ এর এমডি, অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) সেক্রেটারি জেনারেল, জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই সম্মেলনে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে ২০১৬ সালে জাপানে ও ২০০১ সালে ইতালিতে জি সেভেন আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দেন। কানাডা ছাড়া জি সেভেনের বাকি ছয় সদস্য দেশ হল ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
এবারের আউটরিচ সম্মেলনে সমুদ্রকে দূষণ থেকে রক্ষা করা ও উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রতিকূলতা মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় খুঁজতে আলোচনা হবে।
১০ জুন (রোববার) সকালে কুইবেকে সফরকালীন আবাসস্থলে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন শেখ হাসিনা।
ওইদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী কুইবেক সিটি থেকে টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবেন। বিকেল ৪টার দিকে পিয়ারসন বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন তিনি।
সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী টরন্টোতে সফরকালীন আবাসস্থল রিজ কার্লটনে যাবেন। স্থানীয় সময় ৬টায় মেট্রো টরন্টোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।
১১ জুন (সোমবার) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কানাডার মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত বব রে’র সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন সাসকাতচেওয়ান প্রদেশের ডেপুটি প্রিমিয়ার, বাণিজ্য ও রফতানি উন্নয়নমন্ত্রী গর্ডন ওয়ান্ট এবং অভিবাসন ও ক্যারিয়ার প্রশিক্ষণমন্ত্রী জেরেমি হ্যারিসনসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী কানাডা কমার্শিয়াল করপোরেশনের (সিসিসি) প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্টিন জাবলকির সঙ্গেও বৈঠক করবেন।
ব্যস্ত এসব কর্মসূচি শেষে সেদিন স্থানীয় সময় বেলা আড়াইটার দিকে টরন্টোর পিয়ারসন বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী। দুবাইয়ে যাত্রাবিরতি দিয়ে মঙ্গলবার (১২ জুন) রাত ১১টা ২০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
সফরে সরকারপ্রধানের উল্লেখযোগ্য সঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, এসএসএফের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান।
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে সফরে রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮/আপডেট: ০৬০৬ ঘণ্টা, জুন ০৯
এমইউএম/এইচএ/এমএ