নির্বাচনী বছরে জনগণের আয়-ব্যয়ের স্বস্তি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) জাতীয় সংসদে ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
সদরঘাটের ইস্টবেঙ্গল বিপনি বিতানের দাওয়াত পাঞ্জাবি ঘরের বিক্রেতা মেহেদী হাসান বাজেটের আকার বলে পোশাকখাতের জন্য কী আছে সেটিরও খোঁজ-খবর রেখেছেন।
এবারের বাজেটে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ জিডিপি (মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখার বিশাল চ্যালেঞ্জ নিয়েছে সরকার, যেন নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে চাপে না পড়েন জনগণ।
বাজেট নিয়ে আলোচনাকালে পাশেই দোকানের আরেক কর্মী বললেন, এতো বুঝি না। আমরা একটু স্বস্তিতে থাকতে চাই। বেচাকেনা ভালো হলেই হলো।
চলতি বছরের বাজেটে বিলাসিতা এড়াতে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, চালের আমদানির উপরও শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন, যাতে দেশীয় উৎপাদন বাড়ে।
বাজেটের পর কেনাবেচায় কোন প্রভাব আছে কি-না জানতে চাইলে মিউনিসিপাল হকার্স মার্কেটের কমল গার্মেন্টেসের স্বত্ত্বাধিকারী খন্দকার অহিদুল ইসলাম বলেন, না তেমন প্রভাব নাই। পাইকারি বাজারে কেনাকাটা প্রায় শেষ হয়েছে। এখন খুচরা বাজারের ক্রেতারা বাজেটের প্রভাব বুঝতে পারবেন।
পুরান ঢাকার ইসলামপুরের সোনার বাংলা মার্কেটের অনুসন্ধানী শাড়ি বিতানের বিক্রেতা তৈয়ব আলী জানালেন, জনগণের জন্য বাজেটি কী সুবিধা হবে সেটাই আসল কথা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস