বুধবার (০৬ জুন) সকালে দশম জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী ও জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের পৃথক দু’টি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬ সালে যখন সরকর গঠন করি, তখন দেখি বাজেটের একটি পয়সাও গবেষণার জন্য বরাদ্দ নাই।
‘পৃথিবীর বহু দেশ অনেক আগেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কখনও চিন্তাই করে নাই যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা যাবে। যখনই যেটা আধুনিক হবে সময়পযোগী হবে আমরা সঙ্গে সঙ্গে সেটা যেন গ্রহণ করতে পারি ব্যবহার করতে ঠিক এই মুহুর্তে কোনটা আসবে সেটা বলতে পারি না। তবে স্যাটেলোইটের ব্যাপারে একটা কথা আছে যেহেতু একট স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল ১৫ বছর। কাজেই আমাদের পরবর্তী স্যাটেলাইট অর্থাৎ স্যাটেলাইট-২ প্রস্তুতের সময় চলে আসবে’।
‘একটি স্যাটেলাইট প্রস্তুত যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। সেইজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। স্যাটেলাইট-২ তৈরি করতে ৫-৬ বছর লেগে যাবে। যেহেতু ১৫ বছর আয়ুষ্কাল খুব স্বাভাবিক ভাবেই একটা জিনিস ৫-৬ বছর চলার পর ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। কাজেই স্যাটেলাইট সুবিধা পেতে যেন কোনোরকম সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা আমাদের কাজ শুরু করে দিয়েছি। স্যাটেলাইট-২ নির্মাণে এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সেটার টাইম যখন শেষ হয়ে আসবে তখন স্যাটেলাইট-৩ এর দিকে অগ্রসর হবো।
ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্যাটেলাইট-১ যখন কাজ শুরু করে দেবে তখন আর কোনো সমস্যা হবে না আমি এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। সারা দেশে যেসব অঞ্চলে সাবমেরিন ক্যাবল লাইন দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এখনও কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারছে, স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সেসব অঞ্চল ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে যাবে। দুশ্চিন্তার কিছু নাই। চিন্তা করার দরকার নাই।
শান্তি নিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, না বলা কথাটি রবে না গোপনে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৮
এসকে/এসএম/এনএইচটি