ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিক বাংলাদেশই

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১৮
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মালিক বাংলাদেশই সংসদে প্রধানমন্ত্রী।

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা বাংলাদেশ সরকারেরই। যারা এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা অর্বাচীন।

বুধবার (০৬ জুন) সকালে দশম জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি’র সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এর মালিকানা নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা দেশকে ভালোবাসে না, স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, তারা একধরনের অর্বাচীনের মতো কথা বলে।

এধরনের অর্বাচীনের মতো কথা জাতির কাছে গ্রহণযোগ্য না। বাংলাদেশকে কেউ দাবায় রাখতে পারেনি, পারবে না। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মালিকানা অবশ্যই বাংলাদেশের। তবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে যেহেতু স্যাটেলাইটটি বিভিন্নভাবে ব্যবহার হবে, যেমন- টেলিমেডিসিন, ডিটিএইচ। এসবক্ষেত্রে যে যতটুকু ভাড়া নেবে সে সেইটুকুর মালিক হবে, দুইজন ব্যক্তিতো এটার মালিক হতে পারে না। এধরনের মন্তব্য করাটাও অত্যন্ত লজ্জাজনক।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার ও এ থেকে আয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই স্যাটেলাইটে ৪০টা ট্রান্সপন্ডার আছে। যেহেতু একটা স্যাটেলাইটের আয়ুষ্কাল ১৫ বছর। এসময়ে আমাদের প্রয়োজন হবে মাত্র ২০টি ট্রান্সপন্ডার। বাকি ২০টি ভাড়া দিয়ে আমরা আয় করতে পারবো। আমরা ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানসহ বেশকিছু দেশে তা ভাড়া দিতে পারবো।  

‘যেখানে দেশের সব মানুষ খুশিতে উদ্বেলিত, দেশে-বিদেশে সব জায়গায় জয় বাংলা স্লোগানে উদ্বেলিত। যখন উৎক্ষেপণ হলো, খুশিতে আমরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। পৃথিবীর কোনো দেশেই এভাবে খুশিতে উদ্বেলিত হতে দেখা যায়নি। যখন সব মানুষ এতো খুশি তখন বিএনপি’র কেন দু:খ?’

‘বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেদবুনিয়াতে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ স্থাপন করে গেছেন। এরপর আমরা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে উদ্যোগ নিয়ে ২০১৮ সালে উৎক্ষেপণ করতে পারলাম। আগের সরকার আসার পর পারলো না কেন? পৃথিবীর বহুদেশ অনেক আগেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে’।  

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তারা আসলে ওইসব কথা বলে আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে রাখার চিন্তা করেছে। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় এসে সাবমেরিনে যুক্ত হওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। সেটাই সফল হয়েছি। আর এই স্যাটেলাইট বিরাট অবদান রাখবে। ডিটিএইচ অর্থাৎ ডাইরেক্ট টেলিভিশন টু হোম আমাদের তথ্যমন্ত্রী দুইজনকে দিয়েছেন। এখানে দুই ব্যক্তিকে কিভাবে স্যাটেলাইট দিয়ে দেওয়া হলো এই ধরনের কথা আমার কাছে বোধগম্য না।

তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশকে মহাকাশে নিয়ে যেতে পেরেছি। এখন সাগরের তলদেশ থেকে মহাকাশ পর্যন্ত বাংলাদেশর মর্যাদা উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছি। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, এই অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত রাখতে পারি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১৮
এসকে/এসএম/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।