বুধবার (৬ জুন) দেওয়া হচ্ছে ১৫ জুনের টিকিট।
কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাওয়ার আশায় মঙ্গলবার (৫ জুন) বিকেল থেকেই লাইনে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছেন শত শত মানুষ।
ইমরান হুসাইন থাকেন রাজধানীর সদরঘাট এলাকায়। চার বন্ধু মিলে ঈদ অগ্রিম টিকিট কিনতে আগের বিকেলেই চলে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। এখানেই তারা ইফতার-সেহরি খেয়েছেন। কখনও ঘুমিয়ে, কখনও জেগে, কখনও গল্প করে পার করেছেন রাত। মজার ব্যাপার হলো, সকালে টিকিট বিক্রি শুরু পরেও অপেক্ষা করতে হয়েছে তাদের। কারণ লাইনে তাদের আগে রয়েছেন আরও ৫০ জন টিকিট প্রত্যাশী। এরপর মিলবে নিজেদের টিকিট।
জুয়েল হোসেন কমলাপুরে এসেছেন মঙ্গলবার ইফতারের পর (রাত ৮টার দিকে)। বুধবার সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরু হলেও তার সামনে আছেন আরও প্রায় ১৫০ জনের মতো। এরপরই আসবে জুয়েলের কাঙ্ক্ষিত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, মিলবে টিকিট নামের সেনার হরিণ।
আয়েশা আক্তার রাত ৩টার দিকে সেহরি খেয়েই চলে এসেছেন টিকিট কিনতে। কমলাপুর এসে তিনি দেখেন, তার আগে আরও কয়েকশ নারী লাইনে দাড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করছেন। বুধবার সকাল ৭টায় টিকিট দেওয়া শুরু হলেও তাকে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক ঘণ্টা।
আয়েশা বাংলানিউজকে বলেন, টিকিট আরও আগে ছাড়া উচিত। যারা টিকিট কিনতে আসেন তারা আগেই চলে এসেছেন।
অনলাইনে টিকিট বিক্রির জন্যও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি। তার মতে, অনলাইনে টিকিট বিক্রি হলে জনদুর্ভোগ অনেক কমে যাবে। সাধারণ জনগণকে এভাবে আগের দিন থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২০, জুন ০৬, ২০১৮
ইএআর/এনএইচটি