রোববার (৩ জুন) বিকেলে ভুয়া এতিমের নামে সরকারি অনুদানের বিল না দেয়ায় উপজেলা পরিষদের নিজ অফিস কক্ষে তিনি এ হামলার শিকার হন।
আহত মো. আখলাকুর রহমানকে বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সমাজসেবা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়হারজী গ্রামের হাজী গুলশান আরা শিশু সদন নামে একটি এতিমখানা খুলে আ. গফ্ফার ১০১ জনের নামে প্রতি বছর ১২ লাখ টাকা সরকারি বরাদ্দ তুলে আত্মসাৎ করে আসছিল। সম্প্রতি ওই এতিমখানার বিরুদ্ধে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ মাহামুদ ভুয়া এতিম দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মো. সোহাগ হাওলাদার সরেজমিন তদন্ত করে ওই এতিম খানায় মাত্র ৪১ জন এতিম উপস্থিত পান। পরে তিনি ভুয়া এতিমখানার নামে বর্ধিত বরাদ্দ বাতিলের সুপারিশ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এদিকে এতিমখানার সভাপতি গফ্ফার গত ছয় মাসের সরকারি অনুদানের ছয় লাখ টাকা বিল দাবি করে ওই সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। এর জের ধরে রোববার বিকেলে এতিখানার সভাপতি ৫/৬ জন ভাড়া করা সন্ত্রাসী নিয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিস কক্ষে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুরসহ সমাজসেবা কর্মকর্তাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সু-কৌশলে এতিমখানার সভাপতি গফ্ফার ও তার সহযোগী মাওলানা মোস্তফা মাহামুদকে একটি কক্ষে আটক করে পুলিশে দেন। তবে বাকিরা পালিয়ে যায়।
মঠবাড়িয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন বাংলানিউজকে বলেন, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৮
এনটি