অন্যদিকে প্রায় একলাখ মুসল্লি যেন নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য প্রস্তুত থাকবেন আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
রোববার (০৩ জুন) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকদের কেউ বাঁশ, কেউ রশি নিয়ে ঈদগাহ ময়দানের কাজে ব্যস্ত।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, মুসল্লিদের ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবই করবে এ সিটি করপোরেশন। প্রতিদিন শ্রমিকরা যে কাজ করছেন তা তদারকি করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন বলছে, ঈদগাহ ময়দানে ত্রিপল ও সামিয়ানা সহযোগে প্যান্ডেল নির্মাণের কাজ ২৬ রমজানের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। বাকি কাজগুলো করতে আরও দুই দিন লাগতে পারে।
ঈদের নামাজে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। নিয়োজিত থাকবেন ওয়াসা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী মো. আবুল হাসেম বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় ঈদগাহে এরইমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। ২৬ রমজানের মধ্যেই পুরো প্যান্ডেলের কাজ শেষ হবে। মাইক, ত্রিপল, ফ্যান টাঙানোর জন্য আরও দুইদিন সময় লাগতে পারে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করছে নামাজের জন্য সাদা চাদর বিছানোর বিষয়টি।
তিনি বলেন, এবার মুসল্লিদের জন্য ১৪০টি স্থানে অযুর ব্যবস্থা, একটি টয়লেট, প্রায় ৫ হাজার নারীর নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আর আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেক্ষেত্রে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
সিটি করপোরেশনের অপর একটি সূত্র জানায়, ঈদগাহের দক্ষিণ গেট দিয়ে নারীরা নামাজের জন্য প্রবেশ করতে পারবেন। পুরো ঈদগাহ ময়দান থাকবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে। যা মনিটরিং করবে ডিএমপি। এজন্য যা খরচ হবে তা বহন করবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। গত বছর সিসি ক্যামেরা বাবদ খরচ হয় ৯৬ হাজার টাকা।
নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি থেকে জানানো হয়, প্রতিবারের মতো এবারও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার ব্রিফ করে বিস্তারিত জানিয়ে দেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা জুন ০৩, ২০১৮
ইএআর/জেডএস