রোববার (৩ জুন) দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম তার জামিনের আদেশ দেন।
জীবনের পক্ষে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটুসহ শতাধিক আইনজীবী জামিন প্রার্থনা করেন।
এদিকে নির্যাতনকারী পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। সাংবাদিক জীবনের দেওয়া নির্যাতনের বিবরণের চিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সবাই এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাতে মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক জীবনকে ধরে এনে থানায় রাতভর বেধড়ক মারধর করে পুলিশ। এমনকি তার শরীরের স্পর্শকতর স্থানে করা হয় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন। দেওয়া হয় মোমবাতির ছ্যাকা। পরে তার বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। ওইদিন সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ সদর থানার সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে হবিগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদিকরা।
এ ঘটনায় শনিবার (২ জুন) দুপুরে গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলামকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেন জেলা পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৮
এসআরএস