উদ্বোধনের পরপরই যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় মুন্সীগঞ্জ-গজারিয়া ফেরি সার্ভিস। মেঘনা নদীতে এই ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে জেলা সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে দূরত্ব কমে এসেছে।
জানা যায়, এ নৌরুটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার বিকল্প সংযোগ হিসেবে বিবেচিত হবে। গজারিয়ায় ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বাস্তবায়নাধীন শিল্পপার্ক, গার্মেন্টস এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের বিষয়গুলো বিবেচনায় এ ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে মোংলা ও পায়রা বন্দরের যোগাযোগের প্রবেশদ্বার হবে গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ ফেরি সার্ভিস রুট। এ রুটের দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার এবং ফেরি পারাপারে সময় লাগবে ৩০ মিনিট। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়া ফেরিঘাটে দুটি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুন্সিগঞ্জ সদর থেকে গজারিয়া উপজেলায় যেতে হলে ৫০ কিলোমিটার সড়ক পথ পাড়ি দিতে হতো। এই ফেরি সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে মাত্র সাত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েই গজারিয়ায় পৌঁছানো যাবে। এটা গজারিয়াবাসীর জন্য ঈদ উপহার।
এর আগে, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী এই রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করার জন্য নৌমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই এর কার্যক্রম শুরু হয়।
ভিডিও কনফারেন্সের সময় মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কেএম আলী আজম, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃনাল কান্তি দাস, মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৮
এনটি