উপ-পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের নেতৃত্বে টিমটি স্টেশনে আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চায়। এ সময় ভুক্তভোগী কয়েকজন যাত্রী লাইন ভেঙে এবং তদবিরের মাধ্যমে টিকিট কেনাবেচার অভিযোগ করেন।
পরে দুদক টিম স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তীর কক্ষে প্রবেশ করে এবং তাকে সঙ্গে নিয়ে টিকিট কাউন্টারের ভেতরের অংশের কার্যক্রম ঘুরে দেখে। টিম স্টেশন ম্যানেজারকে টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা আনার নির্দেশ দেয়।
এছাড়া স্টেশনে কর্তব্যরত রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (জিআরপি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) টিমকে টিকিট কালোবাজারীদের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও টিকিট কেনাবেচায় শৃঙ্খলা রক্ষায় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়।
পরিদর্শন শেষে যাত্রীদের মধ্যে দুদক অভিযোগ কেন্দ্র ‘১০৬’ এর স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং টিকিট কেনাবেচা প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি এবং ঘুষ লেনদেনের ঘটনা চোখে পড়লে তাৎক্ষণিক অভিযোগ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
এ প্রসঙ্গে অভিযান পরিচালনা সমন্বয়কারী মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ঈদের টিকিট ব্যবস্থাপনাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে দুদক সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। এ নিয়ে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি হলে ভুক্তভোগী যাত্রীদের পাশে দাঁড়াবে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৮
পিঅার/জেডএস